নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
আসন্ন ঈদুল আজহায় রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনে ১৯টি স্থানে পশুর হাট বসবে। আগামী ২৩ জুন থেকে ১৭টি অস্থায়ী ও ২টি স্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের জায়গা চূড়ান্ত করেছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন।
গাবতলীর পাশাপাশি উত্তরে ৮টি এবং দক্ষিণে সারুলিয়াসহ বসছে আরো নয়টি হাট। আর নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া সড়ক বন্ধ করে কোনো হাট বসতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকার ১৯টি পশুর হাটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এছাড়া হাসিল কক্ষ ও প্রধান ফটক নির্মাণের কাজও চলছে।
উত্তর সিটি এলাকায় গাবতলী স্থায়ী হাটের পাশাপাশি ভাটারা, দিয়াবাড়ি, মিরপুর, বাড্ডা, বছিলা, কাওলা, তেজগাঁও, কাচকুরা এলাকায় বসবে ৮টি হাট। সরকার নির্ধারিত মূল্যের প্রায় দ্বিগুণের বেশি দামে এসব হাট ইজারা দিয়ে উত্তর সিটি পাবে ১৭ কোটি টাকা।
পিছিয়ে নেই দক্ষিণ সিটিও। দক্ষিণেও দ্বিগুণ মূল্যে প্রায় ২০ কোটি টাকায় ৭টি হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরো ৩টি হাটের ইজারা এখনো বাকি। এবার পুরান ঢাকার নয়াবাজারে কোরবানির পশুর হাট বসছে না। তবে হাজারীবাগ লেদার কলেজ, পোস্তগলা, মেরাদিয়া, দনিয়া, ধোলাইখাল, রহমতগঞ্জ, আমুলিয়া এলাকা থেকে কোরবানির পশু কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, পশুর হাটগুলোতে যাতে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই শান্তিপূর্ণভাবে পশু কেনাবেচা করতে পারেন, সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক এবং সুযোগ সুবিধা রেখেছি।
এবারের কোরবানির পশুর হাট পাঁচ দিনের জন্য বসছে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ক্রেতারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কিনতে পারেন সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সময়েরও একটি বিষয় আছে সেটি বিবেচনায় আমরা মোটামুটি ৫দিনের জন্য হাটগুলোকে ইজারা দিয়েছি।
উত্তরের প্রতিটি হাটেই ব্যাংকের বুথ বসানো হবে। সেই সঙ্গে থাকবে বিকাশ ও নগদের সুবিধা। এছাড়া প্রতিটি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।
সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশলেস মার্কেটের একটি ধারণা নিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মিলে ডিএনসিসি অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও গরু কেনাবেচার ব্যবস্থা করেছে।
এদিকে দক্ষিণও ক্যাশলেস সার্ভিসে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোথাও হাট বসতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, হাট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সবকিছু অপসারণ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নীতি না মানলে তার জামানত থেকে আমরা ক্ষতিপূরণ কেটে নেব।
Posted ০৯:০০ | রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain