নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট
ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের স্টাফদের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি এক ঘণ্টা পর বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করলে হামলার চেষ্টার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
লঞ্চের যাত্রী তরিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও যাত্রী নিতে নিতে দুপুর ১টার দিকে লঞ্চটি ছাড়ে। লঞ্চের স্টাফরা আমাদের জানিয়েছিল রাত ৮টার মধ্যে বরিশালে নামাবেন। তাতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হতো না। লঞ্চে আসা যাত্রীদের অনেকেই বরিশাল নেমে দূর-দূরান্তে যাবেন। কিন্তু লঞ্চটি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এত ধীরগতিতে চলছিল তাতে বরিশাল নদী বন্দরে এসে পৌঁছায় রাত ১০টায়।
বরগুনার বামনা যাবেন এমন এক যাত্রী সাইফুল বলেন, লঞ্চের স্টাফ বা লঞ্চে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। বরং লঞ্চ স্টাফরা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তা আড়াল করতে লঞ্চ যাত্রীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ
এই যাত্রীর দাবি, লঞ্চ ধীর গতিতে কেন চালানো হচ্ছে এর কারণ জানতে ১৫/২০ জন যাত্রী মাস্টার ব্রিজে মাস্টারের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় লঞ্চের স্টাফরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এর প্রতিবাদ জানান যাত্রীরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ দাবি করেন, আমরা লঞ্চ খুব সাবধানে চালাচ্ছিলাম। বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর আছে। লঞ্চ আটকে গেলে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বাড়ি ফিরতে আরও দেরি হবে। এতে কয়েকজন যাত্রী ক্ষুব্ধ হন। তারা লঞ্চের মাস্টার ব্রিজে গিয়ে হামলার চেষ্টা চালান। পরে সকলের সহায়তায় তাদের নিবৃত্ত করা হয়।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, সুন্দরবন-১০ লঞ্চে হামলার অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছিল। তবে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় আর লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Posted ১০:৫১ | বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain