সোমবার ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিন্নমত : তখন নজিরবিহীন হলে এখন কিভাবে হস্তক্ষেপ করবেন প্রধান বিচারপতি!

  |   মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট

অলিউল্লাহ নোমান

Noman_2

সোমবার (১০ মার্চ ২০১৪) লন্ডন সময় বিকাল ৩টায় মানবজমিন অনলাইনে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকের শ্রদ্ধেয় সম্পাদকদের একটি বিবৃতি দেখলাম। হাইকোর্ট বিভাগে চলমান একটি আদালত অবমাননা মামলায় শ্রদ্ধেয় সম্পাদকরা প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইলেন। বিবৃতিটি পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে আমার স্মৃতিতে ভেসে উঠল ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বরের পত্রিকাগুলোর শিরোনাম। ২৯ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টে স্মরণকালের ভয়াবহ তান্ডবের ঘটনা ঘটেছিল। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে সুপ্রিমকোর্টে এরকম তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেনি। প্রধান বিচারপতির এজলাস ভাংচুর হলো। চেয়ার এমনভাবে ছুড়ে মারা হয়েছিল, উপরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলেছিল পুরো একদিন। প্রধান বিচারপতির চেয়ার উল্টে ফেলে দেয়া হয় লাথি মেরে।

শুধু প্রধান বিচারপতির এজলাস ভাংচুর নয়। রোকন উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে তত্কালীন অ্যাটর্নি জেনারেলকে শারীরিক আক্রমণের জন্য তেড়ে গেলেন আওয়ামী-বাম আইনজীবীরা। সেখান থেকে রোকন উদ্দিন মাহমুদ চিত্কার করে বললেন, ধর মোদাচ্ছিরকে (তত্কালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন)। এই চিত্কার দিয়ে দৌড় দিলেন প্রধান বিচারপতির এজলাসের দিকে। সেখানে গিয়ে ভাংচুর। সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে সদ্য সাবেক হওয়া আইন প্রতিমন্ত্রীর গাড়িতে আগুন দেয়া হলো বর্তমানে এক বিচারপতির নেতৃত্বে। তখন তিনি আইনজীবী সমিতির নেতা।

পরের দিন ৩০ নভেম্বর পত্রিকাগুলোতে লাল কালিতে ব্যানার হেডিং হলো—‘প্রধান বিচারপতির নজিরবিহীন আদেশ।’ দেখে অবাক হলাম। কোথায় নজিরবিহীন তাণ্ডবের ঘটনা। আর শিরোনাম হলো নজিরবিহীন আদেশ। রোকন উদ্দিন মাহমুদ তখন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি। তার নেতৃত্বে সংঘটিত হওয়া তাণ্ডবকে জায়েজ করতে আওয়ামী-বাম পত্রিকাগুলোতে এই শিরোনাম করা হলো। বলা হলো হাইকোর্ট বিভাগে চলমান কোনো মামলায় প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ নজিরবিহীন। অর্থাত্ হাইকোর্ট বিভাগে একটি চলমান মামলা প্রধান বিচারপতি তাত্ক্ষণিক আদেশে স্থগিত করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগে চলমান একটি মামলা স্থগিত করেন প্রধান বিচারপতি। এতেই রোকন উদ্দিন মাহমুদদের আপত্তি ছিল। তাই এই আদেশ তারা মানতে পারেননি। আইনের ভাষা রেখে তারা তান্ডবের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানালেন। আর সেটারই গণমাধ্যমে শিরোনাম হলো ‘প্রধান বিচারপতির নজিরবিহীন আদেশ।’
আদেশ দেয়াই প্রধান বিচারপতির কাজ। এরকম আদেশ আরও বহু দেয়া হয়েছে আগে। এর অনেক নজির পরবর্তিতে দৈনিক আমার দেশ-এ আমি লিখেছি। ঘটনার ২ দিন পর অতীতের ৩টি নজিরের বিস্তারিত প্রমাণসহ ২ ডিসেম্বর দৈনিক আমার দেশ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘ব্যারিস্টার আমীর নিজেই নজির হয়ে আছেন।’

মাননীয় সম্পাদকরা সেদিনের তাণ্ডবকে জায়েজ করতেই এমন শিরোনাম করেছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগে চলমান মামলায় প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ নজিরবিহীন বলে দোষটা প্রধান বিচারপতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছিলেন। আজ সেই সম্পাদকমণ্ডলী হাইকোর্ট বিভাগে চলমান একটি আদালত অবমাননা মামলায় প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইলেন। সবাই মিলে একজোট হয়ে বিবৃতি দিলেন। আমার মনে এখন প্রশ্ন জাগে, সেদিন প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ নজিরবিহীন আদেশ হলে এখন কিভাবে হস্তক্ষেপ করবে!  বিবৃতিদাতা মাননীয় সম্পাদকমণ্ডলীর কাছে সবিনয়ে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ২০১০ সালের ১৭ আগস্ট সুপ্রিমকোর্ট আমাকে কারাগারে যাওয়ার নির্দেশ দিল। তখনো কিন্তু আদালত অবমানার অভিযোগ আনা হয়েছিল দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং আমার বিরুদ্ধে। ‘চেম্বার মানেই সরকার পক্ষে স্টে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলাম। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় সেটা প্রধান সংবাদ হিসাবে ছাপা হয়েছিল। এই প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু ছিল সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট কিভাবে রায় দিচ্ছে তার কয়েকটি উপমা। এছাড়া সুপ্রিমকোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কিভাবে সরকার পক্ষে আদেশ নেয়া হচ্ছে তার প্রমাণসহ বিস্তারিত বিবরণ। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবীর আইনগত অভিমত।

আমাদের আদালত অবমাননার শুনানি হলো প্রধান বিচারপতিসহ ৬ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে। সেখানে আমরা প্রতিবেদনের পক্ষে প্রয়োজনীয় সব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের চেষ্টা করি। তথ্য উপাত্তগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে একজন বিচারপতি বললেন, ‘ট্রুথ ইজ নো ডিফেন্স’। আরেকজন বললেন, ‘আমরা সত্য মিথ্যা যাছাইয়ের জন্য এখানে বসিনি।’ স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে আদালতের কাজ তাহলে কী? সেই প্রশ্নটা কিন্তু কোনো সম্পাদককে তখন করতে দেখিনি। এতে কি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয়নি তখন! তখনতো কাউকে বলতে বা লিখতে দেখিনি গণমাধ্যম সত্য না লিখলে কি লিখবে। সত্য ডিফেন্স না হলে কি মিথ্যা ডিফেন্স হবে! সেটাতো কোনো সম্পাদক মহোদয় তখন বলেননি।

এই কথাগুলো বললাম একটি কারণে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আওয়ামী-বামদের পক্ষে এক রকম। তাদের বিপক্ষের কেউ হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অন্য রকম। বিবৃতিদাতা সম্পাদকদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানে কি আওয়ামী দলবাজ পত্রিকাগুলো যা ইচ্ছা তা লিখবে। অন্য কেউ সত্যটাও লিখতে পারবে না। সত্য লেখার কারণে ট্রুথ ইজ নো ডিফেন্স বলে দণ্ড দিলেও সেটা তখন জায়েজ হয়ে যায়। এর নামই কী বিবৃতিদাতা সম্পাদকদের কাছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা!
আমার প্রতিবেদনটি ছিল হাইকোর্টে মঞ্জুর করা জামিন বা অন্যান্য আদেশে আপিল বিভাগ কিভাবে দ্রুতগতিতে হস্তক্ষেপ করছে সেই বিষয়ে। বিরোধী দলের কারো পক্ষে হাইকোর্ট বিভাগে কোনো আদেশ হলে সেটা বিদ্যুত্ গতিতে স্থগিত হয়ে যেত আপিল বিভাগে। তার জ্বলন্ত কিছু উদাহরণ ছিল প্রতিবেদনটিতে। সুপ্রিমকোর্টের ৬ জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আদালত বললতে পারেননি প্রতিবেদনে মিথ্যা দূরের কথা, কোনো ভুল তথ্য ছিল। সোজা সাফটা বলতে বাধ্য হয়েছে ‘ট্রুথ ইজ নো ডিফেন্স’।
আর প্রথম আলোর যেই উপ-সম্পাদকীয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি চলছে সেটা হলো জনগণের বিরুদ্ধে। জামিন পাওয়া জনগণের অধিকার। জামিন মঞ্জুর করা আদালতের এখতিয়ার। আদালতে মঞ্জুর করা জামিনে হলো প্রথম আলোর আপত্তি। তাই তারা শিরোনাম করেছে ‘মিনিটে একটি জামিন’। সেই বিষয়ে এখনো শুনানি চলছে। শুনানির পর্যায়ে উপ-সম্পাদকীয়টির নানা ত্রুটি এবং ভুল তথ্য নিয়ে ইতিমধ্যে আইনজীবীরা নানা প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। এরই মধ্যে সম্পাদকদের উদ্বেগের শেষ নেই।
‘ট্রুথ ইজ নো ডিফেন্স’ বলে যখন মাহমুদুর রহমানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং আইনের আওতা অতিক্রম করে ১ লাখ টাকা জারিমানা, প্রতিবেদক হিসেবে অলিউল্লাহ নোমানকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং আইনের আইনের আওতা অতিক্রম করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তখন কোথায় ছিল সম্পাদকদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দরদ! তখন তো কেউ বলেননি আইনে অনধিক ২ হাজার টাকা বলা আছে। সুপ্রিমকোর্ট ১ লাখ এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন কোন যুক্তিতে? তখন কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যায় না।

আইনের আওতার বাইরে অন্যায় জরিমানার প্রতিবাদে আমরা সেটা পরিশোধ করিনি। জরিমানা পরিশোধ না করে মাহমুদুর রহমান অতিরিক্ত এক মাস এবং আমি অতিরিক্ত ৭ দিন কারাভোগ করেছি। কই সম্পাদকদের সেদিন এই আইনজীবীদের কেউ আমাদের বিপক্ষে সরাসরি ছিলেন না। শুধুমাত্র অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের আইনজীবীরাই আমাদের বিরুদ্ধে সরাসরি ছিলেন। কারণ, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এবং সুপ্রিমকোর্টের যোগসাজশের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছিল প্রতিবেদনে। আজ যেসব আইনজীবী গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য রাখছেন তারও কিছুটা ব্যাখ্যার দাবি রাখে। কারণ, ওই আইনজীবীরা সবাই জানেন, দলবাজ আওয়ামী সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলগুলোকে কিভাবে অপব্যবহার করতে হয়। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদকে স্যালুট দিতে ইচ্ছা করছে। কারণ, আমি দীর্ঘদিন সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গন নিয়ে রিপোর্টিং করতাম। আমার চোখকে ফাঁকি দিতে পারবো না কখনো।

রোকন উদ্দিন মাহমুদই প্রথম আলোর সেই উপ-সম্পাদকীয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের কঠোর সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, টাকা দিলে এক রকম আর টাকা না দিলে আরেক রকম লিখে সাংবাদিকরা।

আমি একজন সাংবাদিক। অনেকে হয়তো বলবেন কাকের মাংস কাকেও খায় না। কিন্তু আজ সত্য কথাটা না বলে পারছি না। রোকন উদ্দিন মাহমুদরা বাস্তব জানেন বলেই আদালতে দাঁড়িয়ে এমনটা বলার সাহস দেখাচ্ছেন। আওয়ামী গণমাধ্যমগুলোতে কর্মরত আমার সহকর্মী সাংবাদিক বন্ধুদের তখন দেখেছি রোকন উদ্দিন মাহমুদকে কিভাবে তোয়াজ করেন। রোকন উদ্দিন মাহমুদকে তোয়াজ করে ঢাকা ক্লাবে দাওয়াত খান। রোকন উদ্দিন মাহমুদদের টাকায় পিকনিক করেন। সেটা বাস্তবে দেখেছি। সেই সুযোগ সাংবাদিকরা নিয়েছেন এবং রোকন উদ্দিন মাহমুদ অন্যায় করলেও তার পক্ষে লিখেছেন। যার প্রতিদান হিসাবে সুপ্রিমকোর্টে ভাংচুরের পরও রোকন উদ্দিন মাহমুদের পক্ষে লেখা হয়। দোষ চাপানো হয় উল্টা প্রধান বিচারপতির ঘাড়ে। এইতো হলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতার কথাই কিন্তু রোকন উদ্দিন মাহমুদ এখন আদালতে বলছেন।

২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বরের পত্রিকাগুলো যাচাই করে দেখতে পারেন আমি সত্য লিখেছি নাকি অসত্য! দয়া করে সেদিনের দৈনিক আমার দেশ-এ প্রকাশিত আমার লেখা প্রতিবেদনটির সঙ্গে অন্য প্রতিবেদনগুলো মিলিয়ে দেখতে পারেন। একমাত্র আমার দেশ-ই প্রধান শিরোনাম করেছিল ‘সুপ্রিমকোর্টে নজিরবিহীন তাণ্ডব’। এরকম অসংখ্য উদাহরণ আমি দিতে পারবো। যেগুলোর বাস্তব সাক্ষী আমি নিজে। সুতরাং রোকন উদ্দিন মাহমুদদের পক্ষে অন্যায় দালালির কারণেই কিন্তু আজ আদালতে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগের সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

আরেকটি ছোট উদাহরণ দিয়ে শেষ করতে চাই। ১৯৯২ সাল। বেগম খালেদা জিয়া মাত্র দুই বছর হলো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জাপান সরকারের আমন্ত্রণে প্রথম জাপানে সরকারি সফর। সঙ্গে সাংবাদিক টিম রয়েছেন। এই টিমে আজকের একজন বনেদি (!) সম্পাদকও ছিলেন। তখন তিনি একটি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক।

সফরে কয়েক দিন হয়ে গেল। তার কোনো লেখা নেই। বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সাংবাদিক টিমের সদস্যদের উপহার কেনার জন্য কিছু ডলার দেয়া হলো। ওই বার্তা সম্পাদককে (আজকে যিনি সম্পাদক) দেয়া হলো এক হাজার ডলার। পরের দিন তার পত্রিকায় চার কলামে হেডলাইন। ‘জাপানে বছরের প্রথম চেরি ফুল ফুটেছে।’ প্রতিবেদনে বোঝাতে চাইলেন বেগম খালেদা জিয়ার আগমনকে শুভেচ্ছা জানাতে জাপানে বছরের প্রথম চেরি ফুল ফুটেছে।

লেখক : দৈনিক আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:৩৯ | মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com