নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
নামাজে টুপি মাথায় দেওয়া সুন্নত। টুপি নেই এমন পরিস্থিতিতে টুপি ছাড়া নামাজ পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। তবে টুপি থাকাবস্থায় খালি মাথায় নামাজ পড়া মাকরুহ।
নামাজ পড়ার সময় সেজদা দিতে গিয়ে বা রুকুর সময় মাথা থেকে টুপি পড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই রয়েছে। এ অবস্থায় করণীয় কী জানতে চান অনেকে।
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ‘নামাজ অবস্থায় টুপি পড়ে গেলে সেজদা বা বসা অবস্থায় এক হাতে উঠিয়ে নেওয়া উত্তম। কিন্তু যদি এক হাত দিয়ে মাথায় পরা সম্ভব না হয় তাহলে টুপি না উঠিয়ে মাথা খোলা অবস্থাতেই বাকি নামাজ সম্পন্ন করবে। এক্ষেত্রে মাথা খোলা অবস্থায় নামাজ পড়লে কোনো অসুবিধা হবে না। (খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/১৩০; আলবাহরুর রায়েক: ২/১৩; শরহুল মুনইয়া, পৃ-৪৪২; মুখতারাতুন নাওয়াজিল: ১/৩২০; হালবাতুল মুজাল্লি: ২/৪০৮; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১০৮)
টুপি উঠাতে গিয়ে দুই হাত ব্যবহার করলে ‘আমলে কাসির’ হয়ে গেলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। (ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ১/২০৩; শরহুল মুনইয়া: ৪৪২; দুরারুল হুক্কাম: ১/১১১; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১০২; রদ্দুল মুহতার: ১/৬২৫)
নামাজে এমন নড়াচড়াকে ‘আমলে কাসির’ বলা হয়, যে কারণে নামাজের বাইরের কেউ দেখলে মুসল্লি সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা জন্মে যে, মুসল্লি এখন নামাজে নেই।
কিন্তু যদি নামাজের বাইরের কেউ মুসল্লিকে দেখে নামাজরত বলে ধারণা করে, এমতাবস্থায় মুসল্লির কাজকে ‘আমলে কালিল’ বলা হবে। তখন নামাজ নষ্ট হবে না।
সুতরাং নামাজের মধ্যে টুপি পড়ে গেলে তা উঠাতে গিয়ে দুই হাত ব্যবহারের ব্যাপারে বর্ণিত মাসয়ালার প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। (ফতোয়ায়ে শামি: ২/৩৮৫(মাকতাবায়ে যাকারিয়া); ফতোয়ায়ে কাজিখান: ১/৬৩: আল-ফিকহুল হানাফি ফি ছাওবিহিল জাদিদ: ১/২৪৮ ফতোয়া আন-নাওয়াজিল (আবুল লেইছ সামারকন্দি): ৮৯ আল-ফিকহু আলাল মাজাহিবিল আরবা’আহ: ১/৩০৫ তাবয়িনুল হাকায়েক: ১/১৬৫ খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/১৩০)
Posted ০৫:৫৯ | সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain