শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেয়ামতের দিন বিশ্বনবির সবচেয়ে কাছের হবেন যে ব্যক্তি

  |   শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট

কেয়ামতের দিন বিশ্বনবির সবচেয়ে কাছের হবেন যে ব্যক্তি

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবচেয়ে আপন কে? কেয়ামতের দিন কোন ব্যক্তি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আপন হবে? কোন আমলের বিনিময়ে ওই ব্যক্তি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছাকাছি হবেন? হাদিসের বর্ণনায় তা সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।

 

আল্লাহ তাআলার নির্দেশ হচ্ছে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়া। তাঁর জন্য রহমত কামনায় দোয়া করা। তিনি নিজেও প্রিয়নবির প্রতি রহমত পাঠান। ফেরেশেতারা রহমত কামনা করেন আর এ নির্দেশ বান্দার প্রতিও করেছেন মহান আল্লাহ। তিনি বলেন-

إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

‘আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবির প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবির জন্য রহমতের দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম পাঠাও।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৫৬)

 

এ আয়াতে আল্লাহর সালাত পাঠানোর মর্মার্থ হলো- রহমত। অর্থা‍ৎ আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবীর প্রতি অবিরত রহমত বর্ষণ করেন।

 

ফেরেশতাদের সালাত পাঠানোর মর্মার্থ হলো- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর রহমত বর্ষণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। এই দোয়াই হচ্ছে দরূদ।

সুতরাং হে ঈমানদাররা, তোমরাও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়।

কাছাকাছি অবস্থানকারী ব্যক্তির পরিচয়-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনকেয়ামাতের দিন ওই ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে কাছাকাছি হবে যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে। (তিরমিজি)

 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তির উপস্থিতিতে আমার নাম উচ্চারিত হবে, কিন্তু আর ওই  ব্যক্তি আমার প্রতি দরূদ পড়বে না, সে বড় কৃপণ।’ (তিরমিজি)

 

দরূদের আরও ফজিলত

হজরত আবু তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন। তখন তার চেহারায় আনন্দের আভা দেখা যাচ্ছিল। এসেই তিনি বললেন, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছিল এবং বলে গেল-

 

– হে মুহাম্মদ! আল্লাহ তাআলা বলেছেনআপনি কি এতে সন্তুষ্ট হবেন না যেআপনার উম্মতের কেউ আপনার ওপর একবার দরুদ পড়লে আমি তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করব।

 

– কেউ একবার সালাম পেশ করলে তার প্রতি সালাম পেশ করব ১০ বার। আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দিন। (নাসাঈ)

 

অপর বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পড়বে। আল্লাহ তার প্রতি দশবার রহমত নাজিল করেন, এবং তার দশটি গোনাহ (ছগিরা) মাফ করা হয়, ও তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।’ (নাসাঈ)

 

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতি সালাম ও দরূদ পড়া। কেননা এ দরূদ পড়ার মাধ্যমেই কেয়ামতের দিন উম্মতে মুহাম্মাদি তাঁর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকবেন।

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ ও নেয়ামত লাভে ধন্য হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:০৪ | শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com