শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারাম ভক্ষণকারীর ইবাদত কবুল হয় না

  |   বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

হারাম ভক্ষণকারীর ইবাদত কবুল হয় না

সাইদুর রহমান: ইবাদত কবুল হওয়ার প্রধান শর্ত খাদ্য হালাল হওয়া। হারাম ভক্ষণকারীর দোয়া ইবাদত কবুল হয় না। নামাজ রোজা হজ্জ জাকাত কোনো আমলই গ্রহনযোগ্য হবে না আল্লাহর কাছে। না হবে কোনো প্রতিদান। এজন্য হারাম সন্দেহযুক্ত সব ধরণের আয় ও ভক্ষণ থেকে বাচাঁ^ একান্তই জরুরী। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল খাবার খেয়েছে, সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেছে ও মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৫২০)

অবৈধ উপার্জনের ব্যাপারে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অবৈধ পন্থায় গ্রাস কোরো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিয়দাংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে নিয়ে যেয়ো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৮)
আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার ইবাদত-বন্দেগির জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাদের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে রেখেছেন। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা হলো, ‘আমি জিন ও মানুষকে আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের থেকে কোনো রিজিক চাই না এবং তাদের থেকে আমি খাবারও চাই না।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ৫৬-৫৭)

নবী-ওলি থেকে নিয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে হালাল রিজিক খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা পবিত্র বস্তু আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দান করেছি এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো, যদি তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৭২)

হালাল ভক্ষণে মানুষের স্বভাব-চরিত্র সুন্দর হয়। সুকুমারবৃত্তি জাগ্রত হয়। শিষ্টের প্রতি মানুষ আগ্রহী হয়ে ওঠে। অন্যদিকে হারাম মানুষের দেহ-মনে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নৈতিক অধঃপতন ডেকে আনে। তাই ইবাদত-বন্দেগির পূর্বশর্ত হলো পবিত্র বা হালাল পানাহার করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে রাসুলগণ! আপনারা হালাল খাদ্য গ্রহণ করুন এবং নেক আমল করুন।’ (সুরা মুমিন, আয়াত : ৫১)
এ আয়াতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, সৎকর্ম সম্পাদন করা তখনই সম্ভব হবে, যখন মানুষের আহার্য ও পানীয় বস্তু হালাল হবে।

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি দূর-দূরান্তে সফর করছে, তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীরে ধুলাবালি লেগে আছে। এমতাবস্থায় ওই ব্যক্তি উভয় হাত আসমানের দিকে তুলে সকাতর হে প্রভু! হে প্রভু! বলে ডাকছে। অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম। সে হারামই খেয়ে থাকে। ওই ব্যক্তির দোয়া কিভাবে কবুল হবে!’ (মুসলিম, হাদিস নং : ২৩৯৩)

অবৈধ সম্পদ দিয়ে দান করে সাওয়াব কামনা করা গুনাহের কাজ। অনেকে ধারণা করেন, অবৈধ উপার্জন থেকে কিছু দান করে দিলে, অন্য অবৈধ সম্পদগুলো বৈধ হয়ে যায়। অথচ অবৈধ উপার্জনকারীকে অবশ্যই কিয়ামতের দিন জবাবদিহি করতে হবে। তবে সুদসহ অবৈধ উপার্জন সওয়াবের নিয়ত ছাড়াই গরিব ও মিসকিনকে দিতে হবে।

ফুকাহা কেরাম বলেন, এরুপ করলে আশা করা যায়, আল্লাহ অবৈধ উপার্জনের গুনাহ মাফ করে দিবেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিবসে কোনো মানুষ নিজের স্থান থেকে এক বিন্দুও সরতে পারবে না, যতক্ষণ না তার কাছ থেকে চারটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নেওয়া হবে। তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের ধন-সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে?’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৭)  আমাদের সময় ডটকম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৫৮ | বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com