
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন( গাজীপুর, খুলনা,বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট) নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া ভোটের এলাকা থেকে কাউকে বদলি না করতে সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। এছাড়া ভোটের এলাকায় কোনো কর্মকর্তার ছুটি প্রয়োজন হলেও নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে ছুটি গ্রহণ করতে হবে। ভোটের ১৫ দিন পর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নির্দেশনা।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, আধাস্বায়ত্ত্বশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান হতেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণকর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্য হতে কারও কারও নির্বাচনে অন্যান্য দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন হতে পারে।
সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণের মধ্য হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার স্থাপনা/অঙ্গন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের যে কোন ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত হলে উক্ত ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত দায়িত্ব পালন বা উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।
ওই বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর হলে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর ১৫ দিন সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সাথে পরামর্শ ব্যতীত বিধি উল্লিখিত কর্মকর্তাগণকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোন ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তাঁর উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব হতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর চাকরির অতিরিক্ত।দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন।
এই অবস্থায়, উল্লিখিত নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ তাঁদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি মোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অতীতের ন্যায় সহায়তা প্রদান করবেন।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গকে অব্যাহতি না দেয়া পর্যন্ত যাতে তাঁদের অন্যত্র বদলি করা বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/ প্রতিষ্ঠান/সংস্থাসমূহকে নির্দেশ প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।
Posted ০৯:৫৬ | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain