শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমান সম্পাদিত বই নিয়ে আওয়ামী সাংবাদিকদের চর্বিত চর্বণ

  |   শনিবার, ২১ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট

অলিউল্লাহ নোমান

Noman_2

যুক্তরাজ্যে আসার পর গত দেড় বছরে কোনো দিন মশার দেখা মেলেনি। ইদানিং নতুন বাসায় উঠেছি। নতুন বাসাটিতে মাঝে মধ্যেই দু-একটি মশা রাতের বেলায় কানের কাছে হানা দেয়। মশা হানা দেয়া মানেই হলো সেই রাতের ঘুম হারাম হওয়া। তেমনি গতরাতে মশা কামান দাগায় ঘুম ভালো হয়নি। এমনিতেও নানা টেনশনে হরহামেশাই রাতে ঘুম আসে না। তাই ফজরের নামাজের পর আর না ঘুমিয়ে ল্যাপটপ অন করে খবরের কাগজে ডুবে যাই।

লন্ডন সময় ভোর ৫টায় বাংলাদেশে খবরের কাগজে তেমন কোনো আপডেট থাকে না। তখন বাংলাদেশে সকাল ১০টা। খবরের কাগজে চোখ রাখতেই মনে পড়ল আগের দিন প্রথম আলোতে একটি লেখা পড়তে বাকি ছিল। ২০ জুন কালের পুরাণ নামে একটি কলামে প্রবীণ সাংবাদিক সোহরাব হাসান ‘আওয়ামী লীগের মুখোশ’ শিরোনামে একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছিলেন। সেই লেখাটি পড়তে অনুরোধ করেছিলেন আমার এক ভক্ত। কারণ একই দিনে দৈনিক আমার দেশ অনলাইনে আমার নিজের একটি লেখা ছিল। সেটা ছিল তারেক রহমানের সম্পাদিত বই নিয়ে। প্রথম আলোর কালের পুরাণ কলামে একই বিষয়ে লিখেছেন সোহরাব হাসান।

আমার লেখায় বলেছিলাম তারেক রহমানের বই প্রকাশ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নীরব। এমনকি আওয়ামী ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীরাও নীরবতা অবলম্বন করছেন। আমার লেখা পড়ে এক ভক্ত অনুরোধ করেছিলেন সোহরাব হাসানের লেখাটি পড়ার জন্য। ওই ভক্ত আরও বলেছিলেন সোহরাব হাসান জবাব দিয়েছেন। একটু দেখে নেবেন। তখনই মন স্থির করেছিলাম বাসায় ফিরে রাতেই দেখব।

রাতে বাসায় ফিরে আর পড়ার সুযোগ হয়নি। তাই মশা হামলার বদৌলতে ভোরেই সেটা পড়তে বসি। প্রথম আলোর অনলাইন আর্কাইভে গিয়ে অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে লেখাটি পড়া শুরু করি। আমার আগ্রহ ছিল ভিন্ন কারণে। সোহরাব হাসান সিনিয়র সাংবাদিক। তিনি হলেন পুরানো বামপন্থি। হালে আওয়ামী ঝাণ্ডা ওড়ান। তিনি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধ দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। এখাতে সোহরাব হাসান এবং আমার যোজন যোজন তফাত। মনে করেছিলাম তারেক রহমানের বইয়ে সন্নিবেশিত তথ্যগুলোর দাঁতভাঙা জবাব দেখতে পাব সোহরাব হাসানের লেখায়। কিন্ত লেখাটি পাঠে পুরোপুরি হতাশ করেছে আমাকে।

তারেক রহমানের সম্পাদিত বইয়ে পরিবেশন করা তথ্যগুলোর কোনো জবাব দুরবিন দিয়েও দেখতে পেলাম না। আওয়ামী রাজনীতিকদের মতো সেই চর্বিত চর্বণই করলেন প্রবীণ সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বরং ধান ভানতে কিছু শিবের গীত গাইলেন। তারেক রহমানের বইয়ে পরিবেশিত তথ্যগুলোর জবাব এড়িয়ে চর্বিত চর্বণে সোহরাব হাসানের মনের জ্বালা মেটানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু খুঁজে পেলাম না। তারেক রহমান যেসব তথ্য পরিবেশন করে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করেছেন সেগুলোর জবাব আসলেও তাদের কাছে নেই। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের খুঁজে পায়নি মানুষ। সোহরাব হাসান কি বলতে পারবেন শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন। বলতে হয়তো পারবেন। তাদের দ্বারা সবকিছুই বলা সম্ভব। তবে কোনো তথ্য দিতে পারবেন না। সোহরাব হাসান কি বলতে পারবেন ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর হামলায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি একজন আওয়ামী লীগ নেতাও নিহত হয়েছেন। তিনি কি বলতে পারবেন আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে হামলার খবর আগেই পাননি। হামলার খবর আগেই পেলেও সাধারণ নিরীহ মানুষকে বন্দুকের নলের মুখে ঠেলে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা ইন্ডিয়ায় পালায়নি। বলতে পারলেও তথ্য দিতে পারবেন না। সোহরাব হাসান কি বলতে পারবেন শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় পাকিস্তানের পাসপোর্ট নেননি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরেছেন। তবে পাকিস্তানের পাসপোর্ট কেন নিয়েছিলেন। দেশে ফেরত আসা পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন।

২৫ মার্চ মধ্য রাত থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানে মেহমান খানার নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। দিবালোকের মতো সত্য ঘটনাগুলোকে অসত্য ও আবেগ দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। সোহরাব হাসান একটি যুক্তি দিয়েছেন জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের অধীনে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। অত্যন্ত সত্য কথাই বলেছেন তিনি। অন্তত এটা বলেননি জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ছিলেন। অনেক আওয়ামী লীগ নেতা হালে তাও বলার চেষ্টা করেন।

মুজিবনগর সরকার গঠন হয়েছিল ১৭ এপ্রিল। তারেক রহমানের সম্পাদিত বইয়ে তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমেই বলা হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত কি ঘটেছিল। ২৫ মার্চ মধ্য রাতের পর থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে জিয়াউর রহমান যে রাষ্ট্রপতি ছিলেন না এটার পক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ এবং যুক্তি কিন্তু সোহরাব হাসানের লেখায় পাওয়া যায়নি। তিনি এই সময়টা এড়িয়ে চলে গেছেন মুজিবনগর সরকারের দিকে। আমি মনে করেছিলাম তারেক রহমানের স্বপক্ষে পরিবেশিত তথ্য এবং যুক্তির একটা কড়া জবাব পাওয়া যাবে সোহরাব হাসানের লেখায়। পাওয়া যাবে নতুন কোনো তথ্য। যেই তথ্যটি তারেক রহমানের সম্পাদিত বইয়ে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময়টাকে আড়ালেই রেখে দিলেন সোহরাব হাসান। শুধু তাই নয়, তারেক রহমানের বইয়ে পরিবেশিত ৭ মার্চে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষরে পরবর্তি ঘটনাগুলোর তথ্য প্রমাণেরও কোনো জবাব দেয়া হয়নি প্রথম আলোর এই উপ-সম্পাদকীয়তে।

জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ২৬ মার্চ। ১৭ এপ্রিলের পর নয়। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনার উপর নির্ভর করেই ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সুবিধার জন্য সেক্টর ভাগ করা হয়েছে ২৬ মার্চের পর। জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে। ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক সরকার গঠন হওয়ার আগ অর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষণা অনুযায়ী জিয়াউর রহমানই রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। সেদিক থেকে জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। শেখ মুজিবুর রহমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তারেক রহমানের এই দাবিটিও এড়িয়ে গেছেন সোহরাব হাসান। তারেক রহমান প্রামাণ্য দলিল উল্লেখ করে দেখিয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান  কিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। সেই পাসপোর্ট তিনি কারও কাছে স্যারেন্ডার করেছেন এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। আশা করেছিলাম সোহরাব হাসান এ বিষয়ে কোনো পাল্টা তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু লেখাটি পড়ে এরকম কোনো তথ্য পেলাম না।

তবে সোহরাব হাসানের লেখাটির কিছু কিছু প্যারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। সেটা হলো আওয়ামী লীগের বাস্তব অবস্থাটার কিছু চিত্র তিনি দিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন পুরাতন ঘাটাঘাটি করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের বাস্তব চিত্র করম্নণ। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন মানুষকে অতিষ্ঠ করছে। এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে তিনি বিএনপি ও তারেক রহমানকে নসিহত করেছেন। তিনি বলেছেন বিএনপি নেতারা মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে যতই টানাটানি করুন না কেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতাদের নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করতে চান না। এর পক্ষে তিনি কিছু যুক্তিও দিয়েছেন।

সোহরাব হাসান বলেছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান নিয়ে ঘাটাঘাটি না করার কারণ হচ্ছে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত শাসন। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড, আহাসন উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডই মূল কারণ কিনা? সোহরান হাসানের নসিহতে বলা হয়েছে, এই যে নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনা ঘটল, ফেনীতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে খুনের পর পুড়িয়ে চাই করা হলো, লক্ষ্মীপুরে একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছে, সারা দেশে ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যাডারদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ, সর্বশেষ মিরপুরের বিহারি পল্লীতে হামলা চালিয়ে ১০ জান মানুষ আগুনে পুড়ে হত্যা করা হলো, আওয়ামী লীগের ইন্ডিয়ান বন্ধুদের ক্রেস্ট দেয়ার নামে সোনা জালিয়াতির ঘটনা, ক্ষমতাসীনদের লুটপাটে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো ছোবড়া করার ঘটনা নিয়ে বিএনপি সোচ্চার নয়। কারণ হিসেবে বলতে চেয়েছেন ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত শাসন আমলে বিএনপি একই কাজ করেছে। এজন্য আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, খুন, দুঃশাসন, গুম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি নিয়ে নিয়ে অনেকটাই নীরব বিএনপি। তিনি বলার চেষ্টা করেছেন এসব নিয়ে বিএনপি বেশি ঘাটাঘাটি করলে তাদের নেতাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যেতে পারে। এজন্যই আওয়ামী লীগের হাল আমল নিয়ে বেশি সোচ্চার না হয়ে শুধু নির্বাচন দাবি করছে বিএনপি। কারন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মানুষের আর বিকল্প পছন্দের জায়গা নেই। ভোট বিএনপিকেই দিতে হবে। আওয়ামী লীগের অপকর্মের জবাব দিতে ভোট যাবে বিএনপি’র বাক্সে।

সোহরাব হাসান তারেক রহমানের বইয়ের প্রকাশনা নিয়ে গায়ের জ্বালা মিটাতে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করেছেন ২০০১-এর নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাকে। ২০০১-এর নির্বাচন পরবর্তি বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাকে সমর্থন করা যায় না। তবে ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন একতরফা জ্বালিয়াতির নির্বাচনের সঙ্গে ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তি বিচ্ছিন্ন ঘটনার তুলনা চলে না। শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, তেমনিভাবে ভোটার বিহীন নির্বাচনের কলঙ্ক ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে মোচা যাবে না।

তবে একটি কথা সোহরাব হাসান নিরেট সত্য বলেছেন। তিনি ক্ষমতার পালা বদলের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছেন চাঁদ-এর যেমন নিজস্ব আলো থাকে না, তেমিন আমাদের দেশে কোন রাজনৈতিক দল নিজস্ব মহিমায় ড়্গমতায় আসে না। প্রতিপক্ষের অপকর্মের পাল্লা ভারি হওয়ার কারনেই মানুষের সিদ্ধান্ত বদলায়। যেই কথাটি সোহরাব হাসান উহ্য রেখেছেন সেটা হলো আগামীতে কোনো দিন সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগের অপকর্মের পাল্লা এতটাই ভারি হয়েছে মানুষের পিট দেয়ালে ঠেকে গেছে। সুযোগ পেলেই মানুষ সিদ্ধান্ত্ম ধানের শীষে দেবে। তবে এটা বিএনপি’র নিজস্ব কোন ক্যারিশমার কারনে নয়। নারায়ণগঞ্জের শামিম, লক্ষ্মীপুরের আবু তাহের, ফেনীর নিজাম হাজারী, কক্সবাজারের বদি, ঢাকার ইলিয়াস মোল্লা এবং সর্বোপরি র্যাবের খুন খারাবির বদৌলতেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।

অত্যন্ত কৌশলে সোহরাব হাসান এড়িয়ে গেছেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সাতক্ষিরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে দিয়ে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কেন্দ্র করে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি মিলে যেই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এটার কোনো ইঙ্গিত পর্যন্ত নেই সোহরাব হাসানের লেখায়। যেহেতু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে তিনি তুলনা করেছে সেই কারণেই মূলত ধ্বংসযজ্ঞের প্রসঙ্গটি স্মরণ করিয়ে দিলাম। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তি কিছু দিন সাতড়্গিরা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামী ক্যাডারদের যৌথ হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ সোহরাব হাসানরা সমর্থন জানিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, র্যাবের খুনখারাবি, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মানুষ গুম, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক লুট, শেয়ার মার্কেট থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর টাকা লুট, মতিঝিলে রাতের আঁধারে বিদ্যুতের চেরাগ নিভিয়ে গণহত্যা, দুর্নীতি, গণমাধ্যম বন্ধ করা, সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বার বার নির্যাতন নিপীড়ন করার জবাব দেয়ার সুযোগ পেলেই মানুষ সেটা দেবে। সোহরাব হাসানরা যতই সত্য আড়াল করার চেস্টা করুক সুযোগ পেলে মানুষ সরকারি অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। যার নিশানা দেখা গেছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনে।

লেখক : বিশেষ প্রতিনিধি,

দৈনিক আমার দেশ,

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:৫০ | শনিবার, ২১ জুন ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com