বৃহস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

“কতো রঙ্গ যানো মানব; রঙ্গের এই দুনিয়ায়!

  |   মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট

“কতো রঙ্গ যানো মানব; রঙ্গের এই দুনিয়ায়!

মোঃ ফিরোজ খান

একই মাটিতে সৃষ্টি মোদের, একইভাবে থাকি সাজে,তবুও আমরা হতে পেরেছি কজন সত‍্যিকারের মানুষ রঙ্গের এই দুনিয়ায়।একথাগুলো ভাবতে আজ খুবই অবাক লাগে। আমাদের মাঝেই বসবাস করে অনেক মানুষ,কিন্তু কজনে থাকে সুখের মাঝে বেঁচে,তাদের অনেকেই থাকে অনেক কষ্টে, আমরা কভূ দেখেও না দেখার ভান করে থাকি। আবার অনেকেই আছে যারা বাস্তবতাকে না মেনে নিয়ে মিথ‍্যে ভালোবাসার আশ্রয় নিয়ে থাকেন।তাই বলা যেতে পারে “কখনও শুধুমাত্র আলোই যে মানুষকে পথ দেখায় এমন কথা কভূ ঠিক নয়।,নিকশ কালো আধাঁরও কাউকে না কাউকে পথ দেখায় সুখের। তাই আমাদের শুধু আশা আর অনুপ্রেরনাই সব সময় সকল কাজে সফল করতে পারেনা, সফলতার জন্য শুধুমাত্র কাজ করেই ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়ে থাকেনা, সফল হওয়ার জন্য অনেক সময় গভীর হতাশাও কাউকে না কাউকে পিছন থেকে ঠেলা দেয় আলোর সম্মুখে।প্রত্যেকেরই জীবনে ছোট বড় গল্প থাকে।

যেমন:কিছু না পাওয়ার গল্প, কেউ কষ্ট দিয়ে থাকলে সেই কষ্ট পাওয়ার গল্প, আবার বেদনার নীল আকাশে তাকিয়ে প্রিয় মানুষের জন্য অশ্রুভেজা রাতের গল্প।সবার সাথেই আছে জীবনের একটি অপরিহার্য সম্পর্ক।কারো জীবনে থাকে না খেয়ে থাকার নির্মম গল্প, কারো থাকে আবার বাস্তবতার সাথেই চলে যেমন, টিউশুনি করে নিজের জীবন নতুন ও সঠিকভাবে সাজানোর গল্প,খাঁ খাঁ রোদের মাঝেও অনেকেই হেঁটে হেঁটে মাইলের পর মাইল গিয়ে জীবনের ঠিকানা খুঁজে থাকে এটাও একটি ট্রেজেটির গল্প।

কারো প্রতি কারো নির্মম ব‍্যাবহার করে থাকার ও অনেক নির্মম ও অবহেলার গল্প ও দেখা যায়। ছোট ও বড় সকল মানুষের জীবনে আছে যে কোনো গল্প জড়িয়ে।এভাবেই প্রতিটা কষ্টই মানুষকে এক সময়ে অনেক কঠিন ও শক্ত করে তোলে এবং নতুন করে বাচাঁতে শেখায়। আমরা অনেকেই হাজারো চাঁপে পরেও অনেক সময় দেখেতে পাই সহজেও কোনো কষ্টে আমরা ভেঙ্গে পরিনা,হয়তোবা আমাদের চোখে অন‍্যের অবেলা ও লাঞ্ছিত হওয়ার জন্য চোখে একধরণের কষ্টের পানি আসে ।

তাই বলা যেতে পারে ,কচি লাউয়ের ডগায় যেদিন প্রথম কুঁড়ি আসে,কেউ ভাবে না এই ডগায় একদিন দশ কেজি ওজনের লাউ ঝুলবে, জোর হলে এই টুকুই আমরা মনে করে থাকি এবং আশা করি যে,ঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে হয়তোবা গাছটিতে লাউ ধরবে কিন্তু দশ কেজি ওজন হবে সেই লাউয়ের তা সহজেই কল্পনা ও করে থাকিনা। অনেক সময় ছোট ছোট কষ্ট,দুখ,ব‍্যথা,বেদনা আমরা মধ্যে ছোট বড় সকলকেই পেয়ে থাকি আর এসব কষ্ট গুলোই হয়তোবা এক সময়ে সকল মানুষকে ইস্পাতের মতোই বানিয়ে ফেলে।অনেক সময় আমরা অনেকেই কোনো না কোনো কারণেই ভেঙ্গে পড়ে থাকি নানাভাবে নানা চিন্তায়।আবার অনেকেই হারিয়ে যাই দুখের সাথেই গভীর অন্ধকারের মধ্যে। যার গভীরতা হয়ে থাকে খুবই ভয়াবহ ঠিক যেন সাগরের চেয়েও গভীর সেই অন্ধকার।

আমাদের মাঝে এখনও যারা বেঁচে আছেন তারা অনেকেই অনেক কিছু হারিয়ে আজও এই সমাজের মধ্যে বেঁচে আছে অসহায়ের মতোই,কিন্তু আমরা কি কখনও তাদেরকে নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করে দেখেছি?এবং তাদের জীবনের অহীণ কষ্টের কথা লিখতে চেষ্টা করেছি কখনও?না-তবে এতেই বোঝা যায় আমরা কখনও হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কষ্টকে বুকে নিয়ে এক মূহুর্ত ও বাঁচতে চাইনা!কিন্তু তবুও তারা এখনও বেঁচে আছে আমাদের এই সমাজের মধ্যে? আমি আমরা সকলেই যদি একবার একটু সময় করে সেই কষ্টের গহীণে থাকা মানুষগুলোর জীবনের কথা ভেবে থাকি তাহলে তাদের জীবন আজ গল্পের মতোই মনে হবে,তাই আমরা তাদের জীবনের কষ্টের গল্পকে কি একবার জানতে পারিনা?এমনকি লিখতে ও কখনও চেষ্টা করি কি?তবে বাস্তব ও সত্য কথা যে,অবহেলা আর হতাশা সব সময়ে মানুষকে কোনো না কোনো উপায়ে শক্তি যুগিয়ে থাকে।সেই শক্তির খোঁজ অবশ্য সকলে রাখিনি এবং রাখতে পায়নি,তবে চেষ্টা থাকে সবাইকে কিছু দেখিয়ে দেবার প্রচন্ড ইচ্ছা,নিরবে অনেকের ভিতরে কাজ করে থাকে, কিন্তু সহজেই প্রকাশিত করতে পারেনা।

এই ইচ্ছাই কাউকে না কাউকে অনেক সময় বড় করে তুলে থাকে কোনো উপায়ে।তখনই আমরা সেই সকল বড় মানুষদের জীবনের গল্প লিখতে প্রেরণা পাবো বলেই আশা করছি । তবে এটাও সত্য যে,বড় মানুষের গল্প লিখতে যেন মন সবসময় আনচান করে থাকে,এর পিছনের কারণ হলো বড় মানুষের জীবনে থাকে বেশি কষ্ট,যেমন কারো থাকে এক সকালের রোদেলা দু:খ, কারো মনেতে থাকে এক বিকেলের সূর্য অস্ত যাওয়ার কষ্ট,আবার দেখা যায় অনেক সময় অনেকেই না খেয়ে আছে এই না খেয়ে থাকার দুঃখ ও হয়ে থাকে একটা বেদনার গল্প,অনেকের জীবন থেকে দেখা যায় যে কেউ এক সন্ধায় হাউমাউ করে কেঁদেছিল কিছু না পাওয়ায়,এ সবকিছুই ছিলো বড় মানুষের গল্পের মূল কারণ।এভাবেই শুরু হয়েছিল বড় মানুষের গল্পের জীবন,একথাই সত্য যে বিখ্যাত মানুষেরা তাদের জীবনের কঠিন সময় পার করেই অবশেষে কষ্টের মাধ্যমেই তারা তাদের বড় হওয়ার গল্প রচিত করেছিলেন।

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষেরা অনেকেই তাদের শৈশব কাটিয়েছেন ক্ষুধার কষ্টে।সে গল্পগুলো আমরা কখনও মুখস্থ রাখিনা। কিন্তু যাদের জীবন কাটে আজন্ম ক্ষুধায়, তাদের গল্প আমরা জানতে চেষ্টা করিনা ভুলেও।তাই বলবো হতাশার শক্তি একদিন হয়তোবা আমাকে, আপনাকে বড় মানুষ হিসেবেই গঠন করবে বিশ্বের দ্বারপ্রান্তে । কিন্তু সত্যিই একদিন দেখবো আপনাকে যাহারা অবহেলা করেছেন তাদের অবহেলার কষ্টই একদিন আপনাকে আমাকে হয়তোবা মহৎও মহান বানাবে।কষ্ট পেয়ে আমি আপনি আমরা সকলেই কিছু লিখতে চেষ্টা করলে দেখবেন ফলাফল আমাদের ভালো রূপে প্রকাশিত হবে। এটাই কষ্টের এক অপুর্ব পাওয়া,হয়তোবা একদিন আপনি এই কষ্টের জন্য সবচেয়ে ভাল কবিতাটি লিখতে ও সক্ষম হয়ে থাকবেন।তাই,দুঃখ পেয়েই আমি,আপনি আমরা কোনো কোনো সময়ে সবচেয়ে সুখী হয়ে থাকবো।

বিভিন্ন বই ও মনীষীদের কথা পড়ে জানা যায়, যে,না খেয়ে থাকা ছেলেটা ক্লাসের ফার্স্ট হয়েছিল।যার গাঁয়ে/শরীরের মধ্যে শার্টই ছিলোনা সেই শার্ট না থাকা ছেলেটা একদিন বিখ্যাত হয়ে পৃথিবীতে নাম/ডাক ছড়িয়ে ছিলেন।যেমন একটি ছোট উদাহরণ হলো:আমাদের দেশের একজন তিনি বাংলাদেশ ব‍্যাংকের গর্ভনর মো:আতিকুর রহমান, যিনি মানুষের টাকায় পড়ালেখা করেছেন সেই আতিকুর রহমান একদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন।এগুলো হতাশার শক্তি,কষ্টের শক্তি,না খেয়ে থাকার শক্তি।ছল ছল চোখে এ সকল মানুষগুলো সুযোগ খু়ঁজে। তবে ঠিকই একদিন সুযোগ ফিরে আসেই এটাই সত্য এবং বাস্তব ইতিহাস।”কতো রঙ্গ জানো মানুষ রঙ্গের এই দুনিয়ায়।

লেখক : সাংবাদিক

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৫:৪৩ | মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com