অন্যদিকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদের জামিন ও রিমান্ডের আবেদনও নামঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে রিমান্ডও জামিনের নামঞ্জুরের এ আদেশ দেন।
তবে আদালত তদান্তকারী কর্মকর্তাকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
পল্টন থানার ৫০(১১)১৩, মতিঝিল থানার ৪৪(৯)১৩ ও মতিঝিল থানার ১৬(১১)১৩ নম্বর মামলায় ১০ দিন করে ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
মামলাগুলোর মধ্যে রিজভী আহমেদকে তিনটি মামলায়ই ৩০ দিনের এবং হান্নান শাহ ও বেলাল আহমেদের মতিঝিল থানার দুইটি মামলায় ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবুসহ অর্ধশত আইনজীবী এবং আসামি পক্ষে সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, মহসীন মিয়া, বোরহান উদ্দিন, খোরশেদ মিয়া আলমসহ প্রমুখ শুনানি করেন।
রিমান্ড শুনানি সময় কারাগারে বিএনপির এ তিন নেতাকে সকাল ১০টায় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ লক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর ভোর সোয়া চারটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় থেকে রিজভী ও বেলাল আহমেদকে দরজা ভেঙে আটক করে। ওইদিনই তাকে শাহবাগে চলন্ত বাসে পেট্টোল বোমার আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর ওই মামলায় আদালত তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। তবে বেলাল আহমেদকে অন্য একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে গত ২৫ রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশান এলাকার জাপান দূতাবাসের সামনে থেকে হান্নান শাহকে আটক করা হয়। পরদিন ভাটারা থানার একটি মামলায় তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।