শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও তিন মামলায় খালেদার জামিন আবেদন হাইকোর্টে

  |   রবিবার, ২০ মে ২০১৮ | প্রিন্ট

আরও তিন মামলায় খালেদার জামিন আবেদন হাইকোর্টে

দণ্ড হওয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পর মুক্তিতে বাঁধা আরও তিন মামলায় জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।

এই তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলা বিএনপির আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লা বাসে পেট্রল বোমায় আট জনকে হত্যার ঘটনায় করা। আর অন্য মামলাটি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা দিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলের করা হয়েছে।

অবশ্য বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে এবং এই দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে আদেশও এসেছে আদালত থেকে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় জামিন পাওয়ার চার দিনের মাথায় র‌বিবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়। মামলার তিন‌টি শুনা‌নির জন্য উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।

সোমবার আদালতের কার্যতালিকায় আবেদনটি ওপর শুনানির আশা করছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কায়সার কামাল।

গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির পাঁচ বছরের সাজার মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

তবে আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেই তার মুক্তি হচ্ছে না, এটি আগেই জানা গিয়েছিল। কারণ ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রল বোমায় আট জনকে হত্যার একটি মামলায় তিনি আগে থেকেই গ্রেপ্তার আছেন। আগামী ৭ জুন এই মামলায় শুনানির দিন নির্ধারিত আছে।

একই ঘটনায় করা বিস্ফোরক আইনে করা আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে।

আবার মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইল আদালতে করা এক মামলায় গত ৮ মে বিএনপি প্রধানের জামিন আবেদন নাকচ হয়েছে।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর এক আলোচনায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।’

একই ঘটনায় নড়াইল আদালতে মামলা করেন একজন। আর ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

তবে এই তিনটি মামলায় জামিন হলেও খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। কারণ, ১৭ মে তাকে আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ এসেছে ঢাকার দুটি আদালত থেকে।

এই দুটি মামলাতেই আগে থেকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা ছিল। কিন্তু পুলিশ তা কার্যকর করেনি। আবার খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর গ্রেপ্তার দেখাতে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন তিনটি কার্যদিবসে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিচারকরা।

এই দুটি মামলার একটি করা হয় জাতীয় শোক দিবসের দিন ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে। ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম মামলাটি করেন। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

অন্য মামলাটি করা হয় স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর করা মামলায় গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

এই দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকেই ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

এই মামলায় গত ১২ মার্চ তাকে চার মাসের জামিন দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আর এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এবং দুদকের আপিলের ওপর শুনানি করে ১৬ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:২৯ | রবিবার, ২০ মে ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com