| রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
মিহির মোহন
একটি স্বপ্নের স্বপ্নীল যাত্রা অনেক স্বপ্নের বিলেতি জীবন-মানে রেষ্টুরেন্টে কাজ আর কাজ-এরকম ধারণা ছিল আগে। সময়ের তালে অনেক কিছু পাল্টিয়ে গেছে। আমাদের তৃতীয় প্রজন্ম লেখাপড়া করে অনেক সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন তারা বিলেতের মূল ষ্টিমে লেখাপড়ার পাশপাশি খেলাধুলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শুনেছি লন্ডনের বাহিরে যারা থাকতেন- দেশের খবর জানার জন্য অনেকে লন্ডন থেকে অনেক কষ্ট করে বাংলা পত্রিকা সংগ্রহ করতেন। এখন বিলেতে অনেক প্রিন্ট মিডিয়া ছাড়াও ইলেট্টনিক মিডিয়া রয়েছে। আমরা দেশের খবর এক মুহুতে জানতে পারি।
লন্ডন ছাড়াও বামিংহাম, ম্যানচেষ্টার থেকে এখন মাসিক, পাক্ষিক বাংলা পত্রিকা বের হয়। এটা আমাদের কমিউনিটির জন্য একটা সুখবর। সংবাদ মাধ্যমে বহুদিন কাজ করায় এর প্রতি একটা টান সবসময়। আমার প্রিয় বন্ধু, দেশ টিভি সিলেটের ব্যুরোপ্রধান বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী বিলেতে এসে আমার লেখালেখি দেখে বলেছিলো-ঢেঁকি স্বগে গেলেও না কি ধান ভাঙ্গে।
লেখাপড়া করার জন্য যখন বামিংহামে আসি-তখন নতুন পরিবেশ-মনে মনে খুঁজতাম কোন বাংলা পত্রিকা পাওয়া যায় কিনা? গীতাঞ্জলী থেকে প্রথম বাংলা পত্রিকা কিনি। এরপর ভীষম ব্যস্ত হয়ে পড়লাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা নিয়ে।
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে দেখি বামিংহাম থেকে নতুন বাংলা পত্রিকা বের হয়েছে। স্বভাবসুলভ দৃষ্টিতে দেখলাম সম্পাদক কে-মোহাম্মদ মারুফ। একটু ধান্ধার মধ্যে পড়ে গেলাম। সম্পাদক কি সে মারুফ ভাই-যাকে আমি বহুদিন ধরে চিনি। একদিন ভয়ে ভয়ে ফোন করে ফেললাম। দেখি সে মারুফ ভাই-যার সাথে আমার বহুদিনের হৃদতা।
১৯৯৮ সালে সুফিয়া কামালসহ ১২ জনের যে যৌথ কাব্যগ্রন্থ-নশ্বর হাতে শ্বাশত ফুল বের হয়েছিলো তার মধ্যে আমিও মারুফ ভাই ছিলাম। এরপর মাঝে মাঝে উনার পত্রিকায় লেখালেখি করতাম। ভাসিটিতে পড়া লেখা শেষ করার পর বামিংহামে মিডিয়ার জগতের সাথে পরিচিতি হতে শুরু করলাম।
মারুফ ভাইকে ২০১০ সালে একবার বলেছিলাম বামিংহামে যদি প্রেস ক্লাব থাকে-তার সাথে জড়িত হবার ইচ্ছা আমার আছে। উনি বলেছিলেন-একটা প্রেসক্লাব আছে-কিন্ত তেমন কোন সাড়া নেই তাদের মাঝে। ২০১২ সালের প্রথম দিক থেকে দেখলাম একটু সাড়া জাগলো সংবাদ কমীদের মধ্যে। নতুন উদ্যোগে না কি প্রেসক্লাবের যাত্রা শুরু হচ্ছে।
সৈয়দ নাসির ও মারুফ ভাইয়ের আহবানে একটি ছোট পরিসরে সংবাদ কমীদের এক সভায় যোগদান করে বিস্তারিত জানতে পারলাম।এরপর সময় নেওয়া হলো যাতে বামিংহামে একটি প্রেসক্লাব থাকে। মুরুব্বীরা দায়িত্ব নিলেন। কিন্ত যেন ফলপ্রসু হলোনা । বাংলা প্রেসক্লাব বামিংহাম মিডল্যান্ডসের যাত্রা শুরু হলো আহবায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে।
হাটি হাটি পা পা করে বাংলা প্রেসক্লাব এগিয়ে গেলো। ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে কমিউনিটির সবার কাছে নতুন প্রেসক্লাবের সদস্যরা পরিচিত হলেন। কমিউনিটির সবার উপস্থিতি সেদিন প্রমাণ করেছিলো –আমাদের যাত্রা হয়েছে সঠিক পথে। আমাদের দাবী আদায় করতে হবে এভাবে।আমরা আরো পিছু হাটবো না। আমাদের মেধামনন ও সৃষ্টিশীল মানসিকতা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেক দুর।আমাদের পিছপা তে হবেনা।
একটি স্বপ্নীল শুভযাত্রার আমার সহযাত্রী যারা-বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলা ভয়েস সম্পাদক মারুফ ভাই, বামিংহামের সবার পরিচিত সদাহাস্যেজ্জ্বলমুখ আমাদের সৈয়দ নাসির ভাই, ইলেক্টনিক মিডিয়া প্রাণ চ্যানেল নাইন এর বামিংহাম মিডল্যান্স নথ ও নথ-ইষ্টের বূরো প্রধান কায়ছারুল ইসলাম সুমন ভাই, বাংলা টিভির সাংবাদিক ও একজন সুবক্তা এম হাসান খোকন ভাই, সবার প্রিয় সাংবাদিক ফারছু ভাই, শিল্পী ও সাংবাদিক পথিক চৌধুরী, তরুণ ও সাহসী সাংবাদিক দুলাল ভাই, কবি ও বাংলা টিভির সাংবাদিক মোরশেদ ভাই, ক্রীড়া সাংবাদিক সোহেল ভাই, চ্যানেল নাইন এর তরুণ সাংবাদিক আতিক ভাই ও খোকন ভাই, জিয়া ভাই সহ আরো অনেকে।
কমিউনিটির সকলের সাহায্য সহযোগিতায় আমরা একযোগে কাজ করে যাবো বলে বিশ্বাস-আপনাদের সবার দোয়া আমাদের চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে।সকল দলাদলির উধ্বে উঠে আমাদের এ প্রেসক্লাব কাজ করবে বলে আশা রাখি।
মিহির মোহন,
সম্পাদক, শিখা নিউজ
লন্ডন ।
Posted ০৮:৩৯ | রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin