| বুধবার, ০৭ মে ২০১৪ | প্রিন্ট
ক্রীড়া ডেস্ক : দিল্লি ডেয়ারডেভিলস: ১৬০/৫ (২০ওভার), কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৬১/২ (১৮.২ ওভার), ৮ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স৷
বিপক্ষ দলকে সাকিবের রান দেয়ার কিপ্টেমি আর গৌতম গম্ভীরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্বস্তির জয় পেয়েছে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ায় ৬ পয়েন্ট ও বোনাস নিয়ে আইপিএলের চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে দলটি। বুধবার টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কলকাতার বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে দিল্লি ডেয়ারডেলিস। কলকাতার পক্ষে অসাধারণ বল করেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন।
একের পর এক ম্যাচ হার৷ আমিরশাহী পর্ব কেটে যাওয়ার পরেও যেন কোনও মুনির অভিশাপই ভর করেছিল নাইটদের৷ রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে বিনা উইকেটে ১২৪ রান করার পর মাত্র ২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রায় স্যুইসাইড করেছিলেন উথাপ্পা-ইউসুফরা৷ ওই ম্যাচ হারার পর নাইটদের কাছে এখন আর একটা ভুল করারও সুযোগ নেই কারণ প্লে-অফে যেতে হলে বাকি সাতটা ম্যাচের মধ্যে সাতটাতেই জিততে হবে তাদের৷ এই অবস্থায় বুধবার খেলতে নেমে বিপক্ষকে এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ ছিলেন গম্ভীররা৷ এদিন নাইটদের মাঠে দেখে মনে হয়েছিল, প্রতিপক্ষ যেই হোক আজকে তাঁদেরই দিন৷‘ বাংলা বনাম কলকাতা’ যুদ্ধে শেষপর্যন্ত জয় হল কলকাতারই৷ দিল্লির ১৬১ রান তাড়া করতে নেমে অনায়াসে আট উইকেটে ম্যাচ জিতল গম্ভীররা৷
সাতটা ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রথম একাদশ ঠিক করে উঠতে পারেনি নাইট রাইডার্স৷ এমন অভিযোগ অনেকদিন ধরেই উঠছিল শাহরুখ খানের দলের বিরুদ্ধে৷ এদিন দিল্লির বিরুদ্ধে দলে মাত্র একটি বদল হলেও, মোক্ষম বদলটি করেছিলেন গম্ভীর৷ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অল-রাউন্ডার অ্যান্দ্রে রাসেলের জায়গায় এদিন দলে ফিরলেন জ্যাক কালিস৷ ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে মাত্র একটি উইকেট নিলেও ডেথ ওভারে খারাপ বল করেননি এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার৷
দলের এক নম্বর বোলার সুনীল নারিন অবশ্য এদিন ভালমতোই মার খেয়ে যান৷ বাংলার লক্ষ্মীরতন শুক্লার স্টাম্প ছিটকে দিলেও ৪ ওভারে এদিন ৩৮ রান দিয়েছেন নারিন৷ আবুধাবিতে ডুমিনি ঝড়ের সামনে উড়ে গিয়েছিলেন নাইটরা৷ এদিন কেকেআর বোলারদের সামনে পেয়ে আবার নিজের মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেছিলেন ডুমিনি (৪০ নট আউট)৷ কেদার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে দলের রানকে ১৬০ রানেও পৌঁছে দিতে সফল তিনি৷ কিন্তু দিল্লি বোলাররা যে পরে এমন হতাশ করবে, সেটা হয়তো একেবারেই আশা করেননি দিল্লিবাসী৷এই নিয়ে নিজেদের মাঠে টানা দুটো ম্যাচ হারলেন পিটারসেনরা৷
নাইটদের জন্য একটা অবশ্যই ভাল খবর, অধিনায়ক গম্ভীরের রানের মধ্যে ফেরা৷ গত ম্যাচের পর এই ম্যাচেও হাফ-সেঞ্চুরি করলেন তিনি৷ তবে আমেদাবাদে হারের থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন যেন আরও বেশি সতর্ক ছিলেন নাইট ব্যাটসম্যানরা৷ গম্ভীর (৬৯) এবং উথাপ্পা (৪৭) করে আউট হওয়ার পর, দলের বাকি কাজটা করে দেন মনীশ পাণ্ডে (২৩ নট আউট) এবং জ্যাক কালিস (১০ নট আউট)৷ গম্ভীরদের এবার পরের ম্যাচ রবিবার শক্তিশালী কিংস ইলেভেনের বিরুদ্ধে৷ কটকে নিজেদের হোম ম্যাচে জিততে পারলে কিন্তু প্লে অফ যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারেন ট্রেভর বেইলিসের দল৷
Posted ১৪:১৯ | বুধবার, ০৭ মে ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin