বুধবার ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিটারে ১০ টাকা কমল ভোজ্যতেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট

লিটারে ১০ টাকা কমল ভোজ্যতেলের দাম

পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের দাম কমিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লিটারে ১০ টাকা কমানো হচ্ছে। যা কার্যকর হবে আগামী ১ মার্চ থেকে। দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিলিটার বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খোলাবাজারে প্রতিলিটার ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৯ টাকায়।

বৈঠকে নিত্যপণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা, টিকে এস আলম গ্রুপের মনোনীত প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

এ সময় বাণিজ্য সচিব তখন কান্তি ঘোষ ছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, ডলারদর পরিবহন খরচ এবং আনুষঙ্গিক খরচে ব্যয়বৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকলেও ভোজ্যতেলের শুল্ক কমানোর প্রভাব এবং সরকারের অনুরোধে রমজান উপলক্ষে প্রতিলিটার সয়াবিনের দাম ১০ টাকা করে কমাতে রাজি হয়েছে উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে প্রতিলিটার সয়াবিন বর্তমান দাম ১৭৩ টাকা হলেও সেটি আগামী ১ মার্চ থেকে বিক্রি হবে ১৬৩ টাকায়। একইভাবে খোলা সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৯ টাকা। তবে এই দাম কতদিন ভালো থাকবে সেটি নির্ভর করবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার ফলাফলের উপর। সাধারণত প্রতিমাসে এর দাম নির্ধারণের রেওয়াজ আছে।

পাম তেল প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে পাম তেলের দাম বেশি। সয়াবিনের চাইতে ও পাম তেলের দাম দেশে। এই অবস্থায় পান তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত হবে না। তাই সরকার এর মূল্য নির্ধারণ করেনি।

চিনির বিষয়ে টিটু বলেন, আজকের বৈঠকে শুধু ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু কৃষি পণ্যের মূল্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। চিনির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর এখনো বেশি। আমরা ভারত থেকে কোটা ভিত্তিতে চিনি আনার চেষ্টা করছি। তারা যিনি রফতানির উপর এমবরগাও উঠিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের রফতানি করতেও রাজি হয়েছে। তবে এখনো অফিসিয়াল চিঠি এখনো পাইনি। চিঠি পেলে কী পরিমাণ চিনি সরকার আমদানি করবে তা জানা যাবে। আর সরকার চিনি আমদানি করলে এবং টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি অব্যাহত রাখলে ব্যবসায়ীরাও দাম কমাতে বাধ্য বলে দাবি করেন তিনি।

পেঁয়াজের বাড়তি দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন দাম একটু বেশি হলেও এর সুফল পাওয়া যাবে আগামী বছর। কৃষক বেশি দাম পাওয়ার কারণে আগামীতে দেখা যাবে এর দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। ফলে দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে‌।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৪৫ | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com