শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

স্বস্তি আসছেই না সবজিতে

  |   শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট

স্বস্তি আসছেই না সবজিতে

রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া। এ কারণে সবজি কিনতে গিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সবজির সঙ্গে পেঁয়াজ ও আলুর জন্যেও দিতে হচ্ছে চড়া দাম। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, বাজারে গিয়ে পণ্যের দামে এক প্রকার নাকানিচুবানি খাচ্ছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।.

 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে কোনো সবজির দাম বাড়েনি। আবার দাম কমেওনি। আগের সপ্তাহের দামেই সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে। গাজর, টমেটো, শিম, উস্তা, বেগুন, বরবটির কেজি একশ টাকার ঘরে রয়েছে। বাকি সবজিগুলোর দামও ব্যাপক চড়া। বেশিরভাগের দাম একশ টাকার কাছাকাছি।

বাজার ও মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত কয়েক মাসের মতো পাকা টমেটোর কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। এছাড়া বরবটির ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, উস্তে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।.

 

সরকার দুই দফায় দাম বেঁধে দিলেও এখন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সরকার প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং পরবর্তীতে ৩৫ টাকা বেঁধে দেয়। বাজারে আসা নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।,

 

শীতের অন্যতম প্রধান সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামেও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। ছোট একটি ফুলকপি কিনতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। একই দাম দিতে হচ্ছে বাঁধাকপির জন্য।

 

এদিকে ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। উস্তা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

স্বস্তি মিলছে না কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামেও। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। আমদানি করা বড় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।.

 

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জয়নাল মন্ডল বলেন, সবজির দাম কমতে আরও সময় লাগবে। শীতের সবজি বাজারে ভরপুর আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম। এখন বাজারে যে হারে আগাম সবজি আসছে চাহিদা তার চেয়ে বেশি। এ কারণেই দাম এমন চড়া।

 

 

মালিবাগ হাজীপাড়ায় সবজি বিক্রি করা ফজর আলী বলেন, আমি প্রায় ৬ বছর ধরে সবজি বিক্রি করছি। আগে কখনো এত দীর্ঘ সময় ধরে সবজি এমন চড়া দামে বিক্রি করিনি। সবজির দাম বেশি হওয়ায় আমাদের বিক্রি কমে গেছে। ফলে লাভও হচ্ছেকম, যা আয় হচ্ছে তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি।.

 

সবজি বিক্রি কমার পরও দাম কেন কমছে না, জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, বিক্রি যে হারে কমেছে বাজারে সবজি আসা কমেছে তার চেয়ে বেশি হারে। আড়তে গিয়ে আমরাই অনেক সময় পছন্দের সবজি কিনতে পারি না। তবে শীতের সবজি ওঠা শুরু হয়ে গেছে। আমাদের ধারণা, সামনের মাস থেকে দাম কিছুটা কমতে পারে।.

 

এদিকে সবজির চড়া দামের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ডজন।,

খিলগাঁও তালতলা থেকে বাজার করা আলেয়া বেগম বলেন, এক মাসের বেশি হয়ে গেছে সবজি খাওয়া এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছি। সবজির যে দাম, একশ টাকার সবজি দিয়ে একদিনও হয় না। হিসাব করে দেখেছি, সবজির থেকে এখন ব্রয়লার মুরগি কিনলে খরচ কম।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:২৫ | শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com