| বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা: সারাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারাচ্ছে অনেক মানুষ। প্রতিনিয়ত রেললাইন রাস্তায় গাছে ফেলে, গাড়িতে আগুন দিয়ে চালানো হচ্ছে নাশকতা। এসবের মধ্যে এখন সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে মোবাইল ফোনে। তবে প্রেরকের মোবাইল নম্বর প্রদর্শন না করে প্রেরক হিসেবে ‘বিজিডি’ নাম রয়েছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) রয়েছে চাপের মুখে। সরকারে উচ্চপর্যায় থেকে মেসেজ প্রেরককে চিহ্নিত করতে বলা হলেও কিছুই করতে না পেরে দিশেহারা বিটিআরসি। এদিকে চাপ সামলাতে বুধবার মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে মেসেজ প্রেরকদের দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত দুই দিন ধরেই অনেকের মোবাইলেই কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্যসহ মেসেজ দেয়া হচ্ছে। প্রেরক হিসেবে মোবাইল নম্বর প্রদর্শন না করে ‘বিডিজি’ লেখা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে একজন প্রযুক্তিবিদ জানান, এ ধরনের মেসেজ দেশের মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে শর্টকোডের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে প্রেরণকারীকে চিহ্নিত করা যাবে। তবে দেশের বাইরে থেকে ইন্টারনেটে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মেসেজ কেনা যায়। সেখানে মেসেজে নম্বর প্রদর্শন না করে প্রেরণকারীর ইচ্ছে মতো কোড প্রদর্শন করা সম্ভব। এই প্রক্রিয়াকে মাস্কিং বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রেরণকারীদের শনাক্ত করা কঠিন।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, উসকানিমূলক মেসেজ মাস্কিং করেই যে এসেছে প্রাথমিকভাবে তা চিহ্নিত গেছে। কয়েক দিনে যেসব মেসেজ মোবাইল গ্রাহকদের ‘বিজিডি’ শর্ট কোডের মাধ্যমে এসেছে তা দেশের বাইরে থেকে এসেছে। ইতিমধ্যেই সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যেকোনো উসকানি রোধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও উসকানিমূলক বক্তব্য সম্বলিত বার্তা প্রচার রোধে বুধবার বিটিআরসিতে মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে আজ বৈঠক হয়েছে। এ ধরনের মেসেজ রোধে ব্যবস্থা নিতে ও প্রেরকদের দ্রুত চিহ্নিত করতে পাঁচটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
Posted ১৮:৩৩ | বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin