বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুম্বাইতে তারপরেও ভালো আছেন মোস্তাফিজ

  |   শুক্রবার, ০৪ মে ২০১৮ | প্রিন্ট

মুম্বাইতে তারপরেও ভালো আছেন মোস্তাফিজ

কেমন আছেন—এ প্রশ্নের উত্তরে সবাই যেমনটা বলে ‘ভালো আছি’, তিনিও সেটি বলতে পারতেন। মোস্তাফিজুর রহমান শুধু বর্তমান নয়, অতীত-ভবিষ্যৎ মিলিয়েই উত্তরটা দিলেন, ‘আমার সব সময়ই ভালো কাটে!’

পরশু রাতে যখন কথা হলো মুঠোফোনে, মোস্তাফিজ ইন্দোরে, অলস সময় কাটছে টিম হোটেলের রুমে । এমনিতে অন্তর্মুখী স্বভাবের, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে আলোর ঝলকানি, সেটি তাঁকে স্পর্শ করে কমই। জানালেন, খেলার বাইরে প্রায় সারাক্ষণ হোটেলের রুমেই কাটে সময়। এমনকি খাবার খেতে কোনো রেস্তোরাঁতেও যাওয়া হয় না তাঁর। রুমেই সারেন আহারপর্ব। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে আছেন নাফিস ইকবালও, ‘নাফিস ভাই সবকিছুতেই আমাকে সহায়তা করছেন আমাকে।’ একজন স্বদেশি থাকায় বেশ উপকারই হয়েছে মোস্তাফিজের।

তা মুম্বাইয়ের হয়ে দিনকাল কেমন চলছে মোস্তাফিজের? ‘এই শুয়ে-বসে কাটছে’—একটু কি দীর্ঘশ্বাস ঝরে পড়ল বাঁহাতি পেসারের কণ্ঠে? ২০১৬ আইপিএলটা কী দুর্দান্ত গেল, গতবার ঠিক বিপরীত ছবি। এক ম্যাচ খেলে আর সুযোগই হলো না। এবার নিজেদের প্রথম ছয়টা ম্যাচ খেললেও টানা দুই ম্যাচ আবার সাইড বেঞ্চে।

আজ ইন্দোরে পাঞ্জাবের বিপক্ষেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম, ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজের সম্ভাব্য একাদশ অন্তত সেটিই বলছে। ‘খেলানোর বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত’ বলে হয়তো প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু যে বোলার আন্তর্জাতিক অভিষেক থেকে বাংলাদেশ দলে ‘অটোমেটিক চয়েস’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, আইপিএলে কেন ম্যাচের পর ম্যাচ বসে থাকতে হচ্ছে তাঁকে? ২০১৬ আইপিএলে হায়দরাবাদে যেভাবে দলের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন, এখন সেটি পারছেন না কেন? এসব প্রশ্নে স্বল্পভাষী মোস্তাফিজের কাছে উত্তর পাওয়া কঠিন।

তবে কাছের মানুষদের সঙ্গে এ নিয়ে মোস্তাফিজ একেবারে যে কথা বলেন না, তা নয়। ক্রিকেটীয় সমস্যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলাপ করেন সেজো ভাই মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে। কেন আগের মতো বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে না মোস্তাফিজের বোলিংয়ে, সেটির কিছু কারণ বললেন মোখলেছুর, ‘ওকে বোলিং করতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী। ইয়র্কারের কথাই ধরুন, ওকে সামনে বোলিং না করার কথা বলে হয়েছে। সে চেষ্টা করছে সেটা না করতে। ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুতে ও যে ধরনের বোলিং করত, বারবার চোটে পড়ায় সেটি ব্যাহত হয়েছে। আর কোচদের নানা পরামর্শও শুনতে হয়। কোচদের পরামর্শ তো থাকবেই, তবে আমি মনে করি, ওর সহজাত যে জিনিসটা আছে সেটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’

সাইডবেঞ্চে বসে সময় কাটাতে কোন খেলোয়াড়ের ভালো লাগে? মোস্তাফিজেরও নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে খুব! ‘না, সেটা নয়। যে দলেই খেলুক, সময় যেমনই যাক, ও কখনোই বলে না, আমার খারাপ লাগছে। আশা করি সে দ্রুত ধারাবাহিক হবে’—মোস্তাফিজ কতটা মানসিকভাবে শক্ত সেটিই বলছিলেন তাঁর সেজো ভাই।

মোস্তাফিজের কাছেই জানতে চাওয়া হলো, খেলার বিরতিতে কদিনের ছুটিতে দেশে আসার কোনো পরিকল্পনা আছে? সাকিব আল হাসান যেমন বেরিয়ে গেলেন। ‘নাহ, এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশে এসেই বা কী করব, জাতীয় দলের তো কোনো খেলা নেই। একেবারে আইপিএল শেষ করে আসব’—টুর্নামেন্ট থেকে একেবারে মনোযোগ সরাতে চান না মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশের দর্শকদের মনোযোগও তো তাঁর ও সাকিবের প্রতি। কিন্তু দুজনকেই মাঠে না দেখলে রঙিন আইপিএলটা যে বিবর্ণ হয়ে যায় বাংলাদেশের দর্শকদের! প্রথম আলো

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:৫২ | শুক্রবার, ০৪ মে ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com