| রবিবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
একটা সময় সিরিজ হার কিংবা হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ছিল পরিচিত বিষয়। কিন্তু দেশের মাটিতে টানা ৬ সিরিজ জেতা বাংলাদেশ গত দুই বছর ধরে ক্রিকেটের খারাপ দিকটা যেন ভুলে গিয়েছিল।
দেশের মাটিতে ‘বাঘ’ হয়ে ওঠা টাইগারদের জয়রথ থেমেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। স্রেফ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের কাছে সিরিজ খুইয়েছিল। এরপর টেস্ট জয়ের পর নতুন করে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়া টাইগাররা আসে নিউজিল্যান্ড সফরে। কিন্তু কোথায় যেন হারিয়ে গেল ‘আত্মবিশ্বাস’ শব্দটি! অবিশ্বাস্য ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় ওয়ানডে সিরিজে কিউইদের কাছে বিদ্ধস্ত হয় টাইগাররা।
এবার টি-টোয়েন্টিতেও বিদ্ধস্ত হয়েছে তারা। শেষ ম্যাচে ২৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো মাশরাফিবাহিনী। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে, ব্যাট করতে নেমে, ৬ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে মাশরাফিদের ইনিংস।
হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়ানোর এই ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। চার ওভারেই আসে ৪০ রান। এরপরই পথ হারায় সফরকারীরা। দলীয় ৪৪ রানে টেন্ট বোল্টের বলে গ্র্যান্ডমির তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল, ১৫ বলে তিন চার, এক ছ্ক্কায় ২৪ রান করে।
এরপর সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান দলকে পথ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ৮২ রানে স্পিনার ইশ সোধির বলে তার হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৮ বলে ৬ চারে ৪২ রান করা সৌম্য সরকার।
দলীয় ৯৭ রানে কেন উইলিয়ামসন বোল্ড করে ১৮ রান করা সাব্বিরকে ফেরালে চাপে পড়ে সফরকারীরা। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হন মাহমুদুল্লাহ, সাকিব, মোসাদ্দেকরা।
দলকে বিপদে রেখে ১২২ রানে সোধির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ১৮ রান করে। এরপর দলীয় ১৫০ রানে মোসাদ্দেককে তুলে নেন মিশেল স্যাটনার। আর পরাজয় যখন নিশ্চিত ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে শেষ ভরসা সাকিব ফিরে যান বোল্টের বলে কোরি অ্যান্ডারসনের তালুবন্দি হয়ে। তিনি ৩৪ বলে চার বাউন্ডারিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। এরপর বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬৭ রানে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টেন্ট বোল্ট ও ইশ সোদি ২টি করে উইকেট নেন। অনবদ্য ৯৪ রান করা কোরি অ্যান্ডারসন হয়েছেন ম্যাচসেরা।
এর আগে রোববার বাংলাদেশ সময় ভোরে মাউন্ট মাঙ্গানুইতে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। শুরুতেই তার সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা প্রমাণ করেন রুবেল হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
৪১ রানেই এই দু’জন তুলে নেন কিউইদের প্রথমসারির তিন ব্যাটসম্যানকে। সেখান থেকে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও কোরি অ্যান্ডারসনের ১২৪ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে স্বাগতিকরা। অবশ্য ভাগ্যও সহায় ছিল উইলিয়ামসনদের। তা না হলে মাশরাফির বলে দু’দুটি সহজ ক্যাচ কেন ফেলবেন দেশের সেরা ফিল্ডার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল?
শেষ পর্যন্ত ক্যাচ ফেলার মাশুল গুণেছে টাইগাররা। স্বাগতিকরা ৪ উইকেটে করে ১৯৪ রানের পাহাড়।
Posted ০৭:২৯ | রবিবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain