| বুধবার, ২৬ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশীরা অন্য দেশের পতাকা হাতে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবে না বলে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিসিবি, তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ভারত ও পাকিস্তান। বিসিবির সিদ্ধান্তে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাও।
পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াঁদাদ এএফপিকে বলেছেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্তে খুবই বিস্মিত হয়েছি। ক্রিকেটের মূল দিকটি হচ্ছে খেলোয়াড়ি চেতনা। এ সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের চেতনা নষ্ট হবে।”
পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “আমি নিশ্চিত, বিসিবি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে। কারণ এটি অযৌক্তিক। আইসিসি নিশ্চয়ই এর ব্যাখ্যা চাইবে।” আরেক সাবেক অধিনায়ক ইউনুস খান এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন। তার মতে, এটি (নিষেধাজ্ঞা) খেলার চেতনাবিরোধী।
ভারত ও পাকিস্তানের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত সংবাদের নিচে দেখো গেছে পাঠকদের নানা মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে বিস্ত নামের এক পাঠক মন্তব্য করেছেন, “এতে কাজ হবে না। শেষ পর্যন্ত এটি একটি খেলাই। বাংলাদেশ মাত্রই বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে শুরু করেছে।”
একই পত্রিকায় এক পাঠক মন্তব্য করেছেন, “এটি মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত! সম্পূর্ণ খেলার চেতনাবিরোধী। জোর করে কোনো দলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে পারেন না। এটি হাস্যকর!’ ভারতের আইবিএনের খবরে বিনু নামের এক পাঠক লিখেছেন, “বাংলাদেশি মূর্খ!”
হারুনুর রশিদ নামের আরেক পাঠক বলেছেন, “এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা উগ্রবাদী আদর্শের নমুনা। জনতা জেগে ওঠো। অন্যদের অধিকারকে সম্মান করো। সবাইকে দেখাও, বাংলাদেশ উদার মানুষের দেশ।”
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘ডন’-এর খবরে ইমরান নামের এক পাঠক বলেছেন, “মনে হচ্ছে, দুনিয়ায় আমরাই একমাত্র জাতি নয়, যারা হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিই না। এ তালিকায় বিসিবিও রয়েছে।”
আজাহার নামের আরেক পাঠক বলেছেন, ‘পুরোই নির্বোধ!’ ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে’ প্রকাশিত খবরের নিচে সামি মন্তব্য করেছেন, “ওয়াহ! ধর্মনিরপেক্ষ সহনশীল উদার বাংলাদেশ… উদারতার ক্ষেত্রে আরেকটি জয়!” একই পত্রিকার খবরে আওয়াইশ নিক ব্যবহারকারী বলেছেন, “কতটা শিশুসুলভ হতে পারে বাংলাদেশ!”
Posted ১৩:১০ | বুধবার, ২৬ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin