| বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
দুবাই: সিম বোলিংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে শ্রীলংকান ফাস্ট বোলাররা ভাগাভাগি করেছেন সাতটি উইকেট। বাকি তিনটি শিকার করেছেন স্পিনার রংগনা হেরাথ। এদের দাপটে পাকিস্তান দল প্রথম ইনিংসে ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে যাবার পর শ্রীলংকানরা প্রথম ইনিংসে এক উইকেটের বিনিময়ে ৫৭ রান তুলতেই আলোর স্বল্পতার কারণে বন্ধ হয় প্রথম দিনের খেলা। চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায় যে, দুবাই টেস্টের প্রথম দিনটা বেশ দাপটের সাথে কাটিয়েছে শ্রীলংকা।
টসজয়ী শ্রীলংকান অধিনায়ক প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে তিন টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের শুরু থেকেই লংকান পেস বোলাররা ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ওপর জেঁকে বসলে মাত্র ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মিসবাহ এন্ড কোং। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে এক উইকেটে ৫৭ রানে প্রথম দিন শেষ করে শ্রীলংকা।
প্রথাগতভাবেই স্পিন সহায়ক এই পিচে দুই দলেই নির্বাচকরা কেন একজন অতিরিক্ত স্পিনার খেলাতে চাননি, তার প্রমাণ মেলে লংকান বোলিংয়ের সময়। দিনের খেলা এগোনোর সাথে সাথে রৌদ্রের তাপ বাড়লেও শ্রীলংকান পেস বোলারদের দিনের শুরুতে পাওয়া পেস এবং বাউন্সে সামান্যতম কমতি দেখা যায়নি। বলের বাঁক ছিল দারুণ। বিষয়টাকে নিঃসন্দেহে উপভোগ করেন সিমাররা। দুটো ক্যাচ ফেলে দেয়ার ঘটনা না ঘটলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার সময় পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে ৫৭ রানের বিনিময়ে এক উইকেটের বদলে অন্য কিছু দেখা যেতে পারত। মাহেলা জয়াবর্ধনে একবার একটি ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যেতে বাধ্য হন। তবে বারবার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে পাকিস্তানি বোলারদের অস্বস্তিতে ফেলছিলেন লংকান পেসাররা। দিনের দ্বিতীয় সেশনে আর সামাল দিতে পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। এক উইকেটে ৭৮ রান থেকে ১৬৫ রানে পৌছতেই সবকটি উইকেট হারায় তারা। শ্রীলংকান পেসাররাই টপ অর্ডারের সাতজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ সম্ভবত দুটো কারণে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর একটা হতে পারে : এই পিচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুইবার পাকিস্তানিদের ৯৯ রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা। অপরটি হতে পারে এই ভেন্যুতে পাঁচ টেস্টে পরে ব্যাটিংয়ে নামা দলের তিনবার জয়ী হওয়ার রেকর্ড। যাই হোক, অধিনায়কের চিন্তাকে মাঠে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন লংকান বোলাররা।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেও ভালো করছেন শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১১ ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে ৪০ রান জমা করেন। অবশ্য অল্পের জন্য লেগ বিফোর উইকেট হয়ে বাকি সময়ের জন্য বিশ্রামে গেছেন ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে। তবে কুশল সিলভা এবং কুমার সাংগাকারা আর কোনো বিপর্যয় ঘটতে দেননি। ফলে আলোর স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার সময়টাতে শ্রীলংকার স্কোরবোর্ডে এক উইকেটের বিনিময়ে ৫৭ রান ।
সুরংগা লাকমল ও শামিন্দা ইরাংগা দুটো করে এবং নুয়ান প্রদীপ ও রংগনা হেরাথ তিনটি করে উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানকে অল্প রানে গুটিয়ে দেন। ওপেনার খুররম মঞ্জুরের ৭৩ রানই পাকিস্তান দলের সর্বোচ্চ রান। দলের সাতজন ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হন দুই অংকের কোটায় পৌছতে। শ্রীলংকান ইনিংসে প্রথম দিনে পতন ঘটা উইকেটটা পান জুনায়েদ খান।
Posted ১৪:৫১ | বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin