জয়ের জন্য ২১৯ রানের মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু থেকেই পাক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতীতে উইকেট হারাতে থাকে। ২০১১ সালের পর ওয়ানডে খেলতে নামা অভিজ্ঞ জ্যাক ক্যালিস এবং জেপি ডুমিনি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও কাজের কাজটি করতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ১১ বল হাতে রেখেই ১৯৫ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।
ক্যালিস ৭১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ এবং ডুমিনি ৪৯ রান করেন। পেসার বিলাওয়াল ভাট্টি ৩৭ রানে ৩, আনোয়ার আলি ২৪ রানে ২ এবং তারকা অফস্পিনার সাঈদ আজমল ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে স্বাগতিক ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামান।
এর আগে টসজয়ী পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের নিপূণ বোলিংয়ে বিপর্যয়ের পথ পাড়ি দেয়। দলীয় ১৩১ রানে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে সাহায্য করেন দুই নবাগত আনোয়ার ও ভাট্টি।
মাত্র ২৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ভাট্টি আউট হলেও আনোয়ার শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ৬ চারের সাহায্যে অপরাজিত ৪৩ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলে দলকে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২১৮ রানের সংগ্রহ এনে দেন। এছাড়াও ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ৩৫ ও শহীদ আফ্রিদি ২৬ রান করেন।
স্বাগতিকদের পক্ষে ডেল স্টেইন ৩৩ রানে এবং মরনে মরকেল ৩৯ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। ক্যালিস নেন ৫৩ রানে ২ উইকেট। অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপূণ্য আনোয়ার আলিকে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার এনে দেয়। আগামী বুধবার পোর্ট এলিজাবেথে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান ৫০ ওভারে ২১৮/৯(আনোয়ার অপঃ ৪৩, ভাট্টি ৩৯, শেহজাদ ৩৫, আফ্রিদি ২৬, জামশেদ ২৪, মাকসুদ ২২, স্টেইন ৩/৩৩, মরকেল ৩/৩৯, ক্যালিস ২/৫৩)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৮.১ ওভারে ১৯৫(ক্যালিস ৫০, ডুমিনি ৪৯, ডি কক ১৯, মরকেল ১৭, স্টেইন ১৫, ভাট্টি ৩/৩৭, আনোয়ার ২/২৪, আজমল ২/২৮)