নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতলেও পরেরটিতে হেরেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে ফের জয়ের দেখা পেয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। এবার তাদের শিকার দুর্দান্ত ঢাকা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ১৩৬ রান সংগ্রহ করেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। জবাবে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় চট্টগ্রাম। হাতে ছিল আরো ১০ বল।
চট্টগ্রামের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ওভারেই আভিষ্কাকে ফেরান শরিফুল। নিজের পরের ওভারে ইমরানউজ্জামানকেও ফেরান তিনি। দুজনই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।
শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও তামিম ও শাহাদাৎ হোসেন দীপুর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম। এ দুই ব্যাটার দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন। তাদের পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটিতে সহজ জয়ের ভিত্তি পায় পোর্ট সিটির দল।
দীপু ২২ রানে আউট হলে ভাঙে তামিমের সঙ্গে তার ৫৩ রানে জুটি। ফিফটির পথে থাকা তামিম ৪৯ রানে আউট হয়ে আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। বাকি পথ হেসেখেলে পাড়ি দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও শুভাগত হোম।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক শুভাগত হোম। ঢাকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন দানুশকা গুনাথিলাকা ও নাঈম শেখ। দ্বিতীয় ওভারে আল আমিনের বল স্কুপ করতে গিয়ে চোয়ালে আঘাত পান গুনাথিলাকা।
আঘাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুনাথিলাকার চোয়াল ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। মাঠে ডাক্তাররা কিছুক্ষণ তার সেবা শুশ্রূষা করেন। আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তার জায়গায় কনকাশন সাব হিসেবে নামেন লাসিথ ক্রসপুল্লে।
সাইফ হাসান আজ ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। চারে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৬ বল খেললেও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। নাঈম শেখ ও অ্যালেক্স রসও দলীয় ৩৩ রানের মাঝে ফিরলে বড় বিপদে পড়ে দল।
কঠিন সময়ে ঢাকার ত্রাতা হয়ে আসেন ক্রসপুল্লে ও ইরফান শুক্কুর। এ দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় ঢাকা। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এ ম্যাচের প্রথম একাদশে জায়গা না পাওয়া ক্রসপুল্লে।
বিপর্যয়ের মুখে ইরফানকে নিয়ে ৭৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন ক্রসপুল্লে। লঙ্কান এ ব্যাটার ছিলেন ফিফটির পথেও। ৪৬ রানে তিনি আউট হন। তাকে সঙ্গ দেওয়া ইরফান সাজঘরে ফেরার আগে করেন ২৭ রান।
শেষদিকে তাসকিনের ১৫ রানের ক্যামিওতে ঢাকার লড়াকু সংগ্রহ নিশ্চিত হয়। আর কেউই বলার মতো রান পাননি। চট্টগ্রামের হয়ে বিলাল খান ও আল আমিন দুটি এবং শুভাগত হোম, নিহাদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার একটি করে উইকেট শিকার করেন।
Posted ১৩:৫৫ | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain