শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠকছে ক্রেতা!

  |   সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট

ঠকছে ক্রেতা!

ডেস্ক রিপোর্ট : পাইকারি বাজারে চালের যে দাম, তাতে ভোক্তারা যে দামে খাদ্যপণ্যটি কিনছেন, তার দাম আরও কম হওয়া উচিত ছিল। নগরীর দুটি বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা অস্বাভাবিক হারে মুনাফা করছেন। রাজধানীর একটি পাইকারি বাজার এবং এলাকার খুচরা বিভিন্ন বাজার ঘুরে কেজিপ্রতি পার্থক্য ১৩ টাকাও (২৫ শতাংশ) পাওয়া গেছে। আর আট থেকে ১২ টাকা পার্থক্য দেখা গেছে বেশিরভাগ চালের দরে। অথচ রাজধানীর কেন্দ্রে কারওয়ানবাজারে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের তিন থেকে চার টাকা দেখা গেছে। এত বেশি লাভ করার পেছনে খুরচা বিক্রেতাদের নজিরবিহীন যুক্তিও দেখা গেছে। তাদের দাবি, পাইকারিতে দর উঠানামা করে বলে তারা একটি দাম স্থির রাখেন।

২০১৭ সালে বন্যায় ব্যাপক ফসলহানির পর এবার ব্যাপক ফলনের তথ্যই দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। আর ফলন বেশি হওয়ায় ধান বেচতে গিয়ে সরকার নির্ধারিত দর পাচ্ছে না কৃষক। তবে চালের দাম আবার সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে চালের দামে কারসাজি হচ্ছে কোথাও।

আবার চালের উৎপাদন ভালো হওয়ায় গত বছর বিনাশুল্কে আমদানির যে সুযোগ দেয়া হয়েছিল, সেটি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আর এর পরই চালের খুচরা মূল্য কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়ে যায়। কিন্তু যেখাকে আমদানির দরকার নেই, দেশের উৎপাদনই চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট, সেখানে কেম দাম বাড়বে, এর কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই ব্যবসায়ীদের কাছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী গত এক মাসে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। আর আগের বছরের ফসলহানির প্রভাব এবার কাটিয়ে উঠলেও চিকন চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বেশি।

মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে পাইকারি বাজারে মোটা চালের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে গুটি, গোডাউন গুটি, বিআর-২৮ ও পাইজাম। এর মধ্যে গুটি জাতভেদে ৩৮ থেকে ৪১ টাকা, গোডাউন গুটি নামে সরকারি চাল ৩৬ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৫ টাকা ও পাইজাম ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে এসব চাল কেজিতে ছয় থেকে আট টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি মার্কেটের মাস্টার এন্টারপ্রাইজের চাল বিক্রেতা কামরুল হাসান ভ‚ঁইয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘খুচরা ব্যবসায়ীরা অবশ্যই কেজিতে তিন চার টাকা বেশি নিবে। তাই বলে, কেজিতে ৮/১০ টাকা বেশি এটা তো যুক্তিসঙ্গত না।’ চালের দামে সবচেয়ে বড় পার্থক্য দেখা গেছে চিকন চালের ক্ষেত্রে। কৃষি মার্কেটের পাইকারি দোকানে এক ধরনের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৪৯ টাকা কেজি দরে। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া মিনিকেট (মোজাম্মেল) পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে সাড়ে ৫২ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১৩ টাকা বেড়ে এই চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। খুচরা ব্যবসায়ীদের যুক্তির শেষ নেই। তাদের দাবি, পাইকারি বাজারে হুটহাট দাম বাড়ে। কখনো দিনে কেজিতে চালের দাম বেড়ে যায় ৪-৫ টাকা পর্যন্ত। খুচরা ক্রেতাদের থেকে হুটহাট বাড়তি দাম আদায় করা যায় না, এমন যুক্তিতে চালের দামকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখতে চান তারা।

খুচরা বিক্রেতা মো. মুরাদ বলেন, চাল আনার একটা খরচ আছে, লেবার খরচ আছে সব খরচ দিয়া তারপর লাভ। পাইকাররা চাইর/পাঁচ টাকাও বাড়ায়। আপনি আজ যে দামে চাল নিবেন কাল কি তার থেকে চার/পাঁচ টাকা বেশিতে নিবেন? কেউ নিব না। ফাও একটা চিল্লাচিল্লি। তাই আমরা সব দিক ঠিক রাইখাই ব্যবসা করি।’

তবে কারওয়ান বাজারেও খুচরা ও পাইকারি দরের মধ্যে পার্থক্য কিছুটা কম দেখা গেছে। ফলে সেখানে ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে চাল কিনতে পারছেন। এই বাজারে চিকন চালের মধ্যে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪২-৫৪ টাকা পর্যন্ত এবং নাজিরশাইল ৫৫ টাকা দরে।

এমডি রাইস এজেন্সির চাল বিক্রেতা ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমাদের এখানে চালের দাম অন্য সব বাজারের চাইতে কম। পাইকারি দাম আর খুচরা মধ্যেও খুব একটা পার্থক্য হয় না। পাইকারির চাইতে আমাদের কাছে কেজিতে ২/৩ টাকা বেশি। সূত্র : ইনকিলাব

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:১২ | সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com