| শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
শিরোনাম দেখে টাসকি খেয়ে গেলেন নাকি ! আসলেই কথা সত্যি, মোবাইল কোম্পানিগুলো ফোন তৈরী করার সময় বেশ কিছু সিক্রেট রেখে দেয় এবং যেগুলো বিভিন্ন বিপদে আমরা কাজে লাগাতে পারি! আর সেটা করা হয় বিভিন্ন কোড চেপে। চলুন চোখ বুলিয়ে নেই…
১)ইমারজেন্সিঃএমন যদি হয় যে আমরা নেটওয়ার্ক কভারেজের বাহিরে আছি এবং কোন নেট খুজে পাচ্ছিনা সেক্ষেত্রে 112 এই ইমারজেন্সী নাম্ভার টি সব ফোন এর ক্ষেত্রেই ব্যবহারযোগ্য, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এটি যে কাজ করে তা হলো, এটি প্রেস করার সাথে সাথে ইহা আপনার জন্য নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক খুজে বের করবে এবং ঐ অপারেটর এর ইমারজেন্সি নাম্ভার টির সাথে আপনাকে কানেক্টেড করবে। এখন তো সবাই নেট কভারেজের মধ্যেই আছি তাইনা? এখুনি একবার ডায়াল করে দেখুন দেখবেন ডায়াল করলেই নাম্ভারটি দেখাবে না দেখাবে Emergency !
২)গাড়ি আনলক করাঃ
আপনার গাড়িতে যদি রিমোর্ট কন্ট্রোলড লক সিস্টেম থেকে থাকে এবং ধরুন কোণ একদিন ভুল করে চাবিটি গাড়ির ভেতরে রেখে দরজা লক করে দিলেন এবং অন্য কোণ উপায়েও খোলার সিস্টেম নেই তখন মোবাইল দিয়ে সেটি আনলক করতে পারবেন। আর সেজন্য অবশ্যই আরেকটি রিমোর্ট কন্ট্রোলড চাবি থাকতে হবে কিন্তু সেটি আপনার হাতে না থাকলেও চলবে।
ধরুন ২য় চাবিটি বাড়িতে আছে, তাহলে বাড়িতে কাউকে ফোন করুন এবং মোবাইল টি গাড়ির ডোর লক এর এক ফুট পরিমান দুরত্তে ধরে রাখুন এবার ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে বলুন মোবাইলের কাছে ধরে আপনার রিমোর্ট চাবিটির আনলক বাটন চাপতে। আশা করি কাজ হয়ে যাবে। চেষ্টা করে দেখুন।
৩)কথা ভালো বুঝতে পারছেন না কি করবেনঃ
বিশেষ করে সকল নোকিয়া ফোনে এটি কার্যকর। বিভিন্ন সময় হঠাত করে আমাদের ফোনের ভয়েল ক্লিয়ারিটি কমে যায়, সবি ঠিক থাকে তাও কথা এমন অস্পষ্ট সেক্ষেত্রে ভয়েস ক্লিয়ারিটি বাড়াতে পারেন এই কোডটি চেপেঃ *3370# মোবাইল ফোন গুলো সাধারনত কিছু চার্জ রিজার্ভ করে আর এই কোডটি সাধারনত ওই চার্জ কে ব্যবহার করে ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, তবে এই কোড চালু রেখে দেয়া ঠিক নয় এতে ব্যাটারি দূর্বল হয়ে পড়ে । সুতরাং ব্যাবহারের পর #3370# চেপে এটাকে অফ করে রাখুন।
৪)ফোন চুরি হয়ে গেলেঃ
এই টিপস টি আপনার ফোন টা হয়ত পুনরুদ্ধার করে দিতে পারবেনা কিন্তু যে আপনার ফোন টী নিয়েছে সে ওটাকে আর ব্যবহার করতে পারবেনা। এবং বিক্রিও করতে পারবেনা। সুতরাং চোরকে একটা উচিত শিক্ষা দিন এইভাবেঃ
এক্ষুনি প্রেস করুন * # 06 # এরপর একটা সিরিয়াল কোড নাম্ভার দেখাবে সেটিকে কোথাও লিখে রাখুন। ফোনটা চুরি হয়ে গেলে আপনার সার্ভিস প্রোভাইডার কিংবা ফোন কোম্পানির কোণ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে এই নাম্ভার টি দিয়ে কাহিনি খুলে বলুন। ওরা ফোন অকেজো করে দিবে।এরপর চোর মহাশয় যখনি নতুন কোণ সিম ঢুকাবে ব্যাস ফোন চিরতরের জন্য মৃত্যুবরন করবে।
৫)মোবাইল কেনার সময় যাচাই করা উচিতঃ
*#92702689# এই কোডটি চাপলে দেখতে পাবেন ফোনের সিরিয়াল নাম্ভার,কবে তৈরী করা হয়েছে অর্থাৎ ফোনটি লেটেস্ট কিনা,এর আগে কেউ ব্যবহার করলে ক্রয়ের তারিখ দেখাবে, ফোনটিকে রিপেয়ার করলে তার বিস্তারিত দেখাবে, যদি রিপেয়ার না করে থাকে তাহলে ০০০০ দেখাবে, ফোন থেকে কোন ডাটা ট্রান্সফার হয়েছে কিনা দেখাবে। আর এই তথ্যগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ফোনটি রিস্টার্ট দিতে হবে। বর্তমান স্মার্ট ফোনগুলোতে কাজ করে কিনা জানিনা তবে নোকিয়ার পূর্বের হ্যান্ডসেট গুলোতে কাজ করে।
এবার আমার পছন্দের দুটি টিপস আমি শেয়ার করব।
টিপস১ঃ ধরুন বন্ধুরা অন্যরুমে লুকিয়ে কোন প্ল্যান করছে এবং সেটা আপনাকে জানতে দিচ্ছেনা, কিভাবে জেমস বন্ড টাইপ গোয়েন্দাগিরি করবেন? ভাবছেন রেকর্ড অন করে ফোনটা ওখানে রেখে আসবেন? সেক্ষেত্রে ধরুন হঠাত একটা কল আসলো ব্যাস রেকর্ড অফ বা মেমরী সর্টেজ দেখাচ্ছে বা বাইব্রেট হচ্ছে তাহলে সব ভেস্তে যাবে!
ফোনটিতে আপনার এয়ারফোন টা লাগিয়ে আর কল কে অটোরিসিভ অফশানে রেখে এয়ারফোনটি লুকিয়ে রেখে আসুন রুমের ভেতর তারপর বন্ধুদের আলোচনা শুরু হলে জাস্ট কল করুন আর শুনতে থাকুন। সবছেয়ে ভালো হয় যদি ব্লুটুথ এয়ারফোন হয় তাহলে লুকাতেও সমস্যা হবেনা এবং ফোনটা রুমের বাইরে রাখলেও চলবে।
টিপস২ঃ
বাসার টিভির, এয়ারকন্ডিশনের কিংবা মিউজিক প্লেয়ার সব অন্য যেসব ডিভাইসের রিমোর্ট আছে , সেই রিমোর্ট কন্ট্রোল গুলো কাজ করছে কিনা বুঝবেন কিভাবে, কি ব্যাটারী শেষ নাকি অকেজো হয়ে গেছে সেটা পরীক্ষা করতে হলে মোবাইলের ক্যামেরা ওপেন করুন এবং ক্যামেরার সামনে রিমোর্ট কন্ট্রোল্টি ধরে যেকোন কি চাপুন দেখবেন আপনার মোবাইলের ক্যামেরা স্ক্রীন এ ইনফ্রারেড রে দেখা যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন রিমর্ট টি ঠিক আছে , হয়ত ব্যাটারী পাল্টালেই চলবে, আর নষ্ট হলে আপনি রে টি দেখতে পাবেননা।
Posted ০৪:০১ | শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin