বর্তমান অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের বাকশালী শাসনে দেশের মানুষে আতংকিত হয়ে পড়েছে। হত্যা, খুন, গুম, অপহরণ এখন দেশে একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি, সুশীল সমাজের মানুষকে নিয়মিত হত্যা, গুম করার পাশাপাশি এখন প্রবাসীদেরও টার্গেট করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিবকে গুম করা হয়েছে।

সরকার মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। যারাই সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে তাদেরকে টার্গেট করে করে গুম, হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত বাদশা স্বাধীনদেশ ডটকমকে  আশংকা প্রকাশ করে  বলেন,  নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদী থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দনকুমার সরকারসহ মোট ছয়টি লাশ উদ্ধারের ঘটনা দেশবাসীর মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।

একের পর এক গুম-অপহরণের ঘটনায় সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের দিয়ে শুরু হলেও সরকারি দলের নেতাদের নামও এখন অপহৃতদের তালিকায় যোগ হচ্ছে। বাদ পড়ছেন না ব্যবসায়ীরাও। কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে এমন কোনো ঘটনাই ঘটছে না।

পুলিশ প্রশাসনও বলছে এটি স্বাভাবিক। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে খুন, গুম, হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। তিনি অবিলম্বে জননেতা এম ইলিয়াস আলীসহ সকল নিখোঁজ নেতাকর্মীদের সন্ধ্যান দাবী করেন।

উল্লেখ্য,  সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মুজিবুর রহমান মুজিব গাড়িচালকসহ দু’দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার পথে রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। গতকাল মঙ্গলবার জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন ও জিডিতে উল্লেখ করা হয়, রোববার সকালে বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। কর্মসূচি শেষে বিকাল ৪টায় শহরের হাজীপাড়া আবাসিক এলাকা থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে তিনি সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার ব্যবহৃত ৩টি মোবাইলে যোগাযোগ করলে মোবাইল বন্ধ দেখা যায়। পরিচিত সব আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ গাড়িচালক শহরের উকিলপাড়া আবাসিক এলাকার রেজাউল হক সুহেল। তার বাবার নাম মো. ওয়াহিদুল হক। মুজিবুর রহমান ও তার গাড়িচালককে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। এদিকে, আগামীকাল স্থানীয় ট্রাফিক পয়েন্টে জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানে আলম জানান, জিডির পর পরই আমরা উদ্ধারের কাজে নেমেছি। মোবাইল ট্রেকিংসহ আধুনিক সব কৌশল দিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে।