| শনিবার, ২৯ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
লন্ডন, ২৯ মার্চ : বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শাইস্তা চৌধুরী কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমদ সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, লন্ডনে বিএনপির বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বক্তব্যে অজ্ঞতাপ্রসূত, তা ইতিহাস নির্ভর নয়। আওয়ামী লীগ সত্য কখনোই মানতে চায় না। নিজেদের অক্ষমতা, অদূরদর্শিতা, ব্যর্থতা ঢাকতে প্রতিনিয়িত তারা মিথ্যাচার, শঠতা এবং কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। মাহবুব-উল আলম হানিফ সেই একই কায়দায় তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তারেক রহমানের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, তারেক রহমান তার বক্তব্যে যুক্তিতর্ক এবং ৭১ সালের দেশী-বিদেশী পত্রপত্রিকা উপস্থাপন করে বলেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, শেখ মুজিবকে বিতর্কিত করেছে আওয়ামী লীগ।
বিৃবতিতে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির আত্মীয় মাহবুব-উল আলম হানিফ কোনো যুক্তি বা তথ্য প্রমাণ খ-ন করতে না পেরে হুমকি-ধমকিসহ মুর্খের প্রলাপ বকে আরো একবার শেখ মুজিবকে ছোট করেছেন বলেই আমরা মনে করি।
এতে বলা হয়, এটি ঐতিহাসিক সত্য যে, ২৬ মার্চ তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান নিজেকে প্রভিশনাল সরকারের প্রধান ও কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার এই ঘোষণা বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয়েছে। অথচ এমন একটি ঐতিহাসিক বিষয়কে কোনো রকম যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে উপস্থাপন ছাড়াই হানিফ এখন মামলার হুমকি দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, আইন করে যেমন ইতিহাসকে বেঁধে রাখা যায় না, তেমনি গলা ও গায়ের জোরে ইতিহাস রচনা করা যায় না।
বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ মুজিব স্বীকৃত ও স্বাক্ষরিত ‘বাংলা নামের দেশ’ বইয়ে লিখিত ইতিহাস, তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের বেতার ভাষণ ও সেই সময় আওয়ামী লীগের পেশ করা রিপোর্ট, ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধী, মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ, ভাষাসৈনিক অলি আহাদ, সৈয়দ আলী আহসান, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, মঈদুল হাসান, সিদ্দিক সালিক, ভারত সরকারের বাংলাদেশ বিষয়ক ডকুমেন্টস, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ভারতের স্টেটসম্যান পত্রিকা, পাকিস্তানের ডন, টেলিগ্রাফসহ আরো অনেক দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমের রেকর্ড অনুযায়ী এটি প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত যে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার দিন থেকে ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী সরকার গঠন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ ২২ দিন মুক্তিযুদ্ধ নেতৃত্বহীন ও দেশ নেতৃত্বশূন্য ছিলো না। এ সময়কালে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রভিশনাল সরকারের প্রধান ছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। এটাই সত্য, এটাই ইতিহাস।
বিবৃতিতে বলা হয়, যারা ইতিহাস বিকৃত করে এবং বিকৃতকারীদের যারা সহযোগিতা করে একদিন তারা ইতিহাসের বিচারেই আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
Posted ১১:০১ | শনিবার, ২৯ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin