| বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
অ্যাডিলেডে ড্র পেলেই সন্তুষ্ট হবে অজিরা। কেননা, তৃতীয় টেস্টটা পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডের বাউন্সি পিচে। প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান পেস ব্যাটারির সামনে যেভাবে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা অসহায় আত্মসমর্পন করেছে, তাতে করে পার্থে স্বাগতিকরাই সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
অ্যাডিলেড ওভালে স্থাপন করা নতুন ড্রপ ইন পিচ এবং ম্যাচ চলাকালে সম্ভাব্য ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে এই টেস্টে ড্রই সম্ভাব্য ফলাফল।
গাব্বার দুই ইনিংসেই ২০০’র কমে অল আউট হওয়া ইংল্যান্ড দল নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাস অ্যাডিলেডে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাবে। আর ধীরগতির ‘ড্রপ ইন’ পিচে অজি পেসারদের মোকাবেলা করার কাজটা অনেক সহজ হবে বৃটিশদের জন্য। তবে কোনো কারণে স্কোরবোর্ডে বিশাল সংগ্রহ জমা হলে যেকোনো দলই রানের চাপে ভেঙে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে যেকোনো দলের ব্যাটিং ধস হয়ে উঠতে পারে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। দুই দলেরই ব্যাটিং ধসে পড়ার রেকর্ড আছে। কাজেই অ্যাডিলেডে এই বিষয়টাও নজরে থাকছে ।
প্রশ্ন ওঠতে পারে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার কাজটা কাদের জন্য কঠিন হবে। ‘মানসিক চাপের’ কারণে জোনাথন ট্রট দেশে ফিরে যাওয়ার কারণে মাঠের বাইরেও একটা সংকট নিয়ে কিছুটা হলেও মাথা ঘামাতে হচ্ছে বৃটিশদের। গাব্বায় সফরকারীদলের বাজেভাবে পরাজয়ের পেছনে কাজ করেছে সম্ভবত গত জুলাই-আগস্টে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ানদের ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়ার সুখস্মৃতি। আর এলিস স্প্রিংসে অনুষ্ঠিত দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচে ইংলিশদের কোনো অর্জন দেখা যায়নি।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ানরা যেমন কথায়, তেমনি কৌশলের দিক দিয়েও আগ্রাসী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অহমিকা বরাবরই বিপদজনক। এটা যাতে কোনোভাবেই দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে না পারে সেদিকে কোচ ড্যারেন লেহম্যান এবং অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে। ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর অস্ট্রেলিয়ানরা ঘরের মাঠে জয় পাওয়া অ্যাশেজ সিরিজগুলোর শুরুতে পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেয়েছে। আগামী পাঁচদিনে এটাও আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে।
ব্রিসবেনে জয় পাওয়া একাদশকে অ্যাডিলেডের জন্য অপরিবর্তিত রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। যে কারণে অতিরিক্ত বোলার হিসাবে জেমস ফকনারকে এবারও থাকতে হচ্ছে সাইডলাইনে।
অন্যদিকে জোনাথন ট্রট দেশে ফেরত যাওয়ার কারণে অবধারিতভাবেই ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে পরিবর্তন আসছে। দুটো পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে বোলিং ডিপার্টমেন্টে। গাব্বায় সাফল্য না পাওয়ার কারণে পেসার ক্রিস ট্রেমলেটের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন অলরাউন্ডার টিম ব্রেসনান। দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে একাদশে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে মন্টি পানেসারের।
ট্রটের শূন্যস্থানটা পূরণের জন্য ইয়ান বেল বা জো রুটকে তিন নম্বরে খেলাতে পারে সফরকারীদল। সেক্ষেত্রে জনি বেয়ারস্টোর চেয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা গ্যারি ব্যালেন্স মিডল অর্ডারের শূন্যস্থানটা পূরণে বেশ খানিকটা এগিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ান দল শুরুতে পাওয়া লিডটা ধরে রাখে, নাকি ইংলিশরা সমতা ফেরায় সেটা দেখার জন্য অ্যাডিলেড ওভালের পিচে চোখ রাখতেই হচ্ছে সামনের কয়েকটা দিন।
Posted ১৭:১১ | বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin