| রবিবার, ০১ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দুই ম্যাচ নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে শেষ হলেও, তৃতীয় ম্যাচে এসেই অতিরিক্ত সময়ের দেখা পেল রাশিয়া বিশ্বকাপ। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাশিয়া ও স্পেনের মধ্যকার ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে স্কোর ১-১। ম্যাচের নিষ্পত্তির জন্য এখন দ্বারস্থ হতে হচ্ছে অতিরিক্তি ৩০ মিনিটের। এই ৩০ মিনিটেও ম্যাচে কোন ফলাফল না এলে ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে।
রাশিয়ার দুর্ভাগ্যই বলতে হবে এই ম্যাচে। প্রথমার্ধের দুটি গোলই কিন্তু দিয়েছে তারা। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে। অর্থাৎ স্বাগতিক ডিফেন্ডার সার্গেই ইগনাশেভিক নিজেই নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন। খেলার ১২ মিনিটেই আত্মঘাতী গোলের কারণে পিছিয়ে পড়ে রাশিয়া।
ডান উইং থেকে ফ্রি কিক নেন ইসকো। তার শট থেকে ভেসে আসা বলটি রিসিভ করার জন্য বক্সের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন রামোস। তাকে ট্যাকল করছিলেন ইগনাশেভিক। তিনি রামোসকে নিয়ে পড়ে যান। এ সময়ই ইগনাশেভিকের পায়ে লেগে বল জড়িয়ে যায় রাশিয়ার জালে। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে রাশিয়া।
গোল হজম করার পর সেটি শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে রাশিয়া। যদিও তাদের আক্রমণগুলো ছিল কাউন্টার অ্যাটাকে। সারাক্ষণ স্পেনের আক্রমণ ঠেকিয়ে একটা-দুটা বল নিয়ে উপরে উঠে আসতে পেরেছিল তারা। যার ফলে ৪০তম মিনিটেই পেনাল্টি আদায় করে নেয় রাশিয়া। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে আর্তেম জিউভা হেড করেন। সেই হেডই হাতে লাগে জেরার্ড পিকের। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
৪১ মিনিটে পেনাল্টির স্পট কিক নিতে আসেন আর্তেম জিউভা নিজেই। স্পেন গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়াকে পরাস্ত করে গোল করেন জিউবা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন দিয়েগো কস্তা। নাচোর কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের দারুণ শট নিয়েছিলেন কস্তা। কিন্তু সেই বলটি ঠেকিয়ে দেন রাশিয়া গোলরক্ষক।
মুহূর্ত পরেই ইসকোর ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে আবারও হেড করেছিলেন কস্তা। কিন্তু এবারও রাশিয়া গোলরক্ষক সেই বলটি ফিরিয়ে দিয়ে রক্ষা করেন দলকে। গোলে সমতা থাকলেও পুরো প্রথমার্ধ আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্পেনই। প্রথমার্ধের ৭৫ ভাগ বল দখল ছিল তাদের কাছে। বাকি ২৫ ভাগ রাশিয়ার দখলে। প্রথমার্ধেই ৪৫৮টি পাস দেয় স্প্যানশিরা। রাশিয়ার এই সংখ্যা ১৪৯টি। রাশিয়া টার্গেটে শট নেয় ৩টি, স্পেনও নেয় সমান ৩টি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। শুরুতেই একটি করে পরিবর্তন করে নেয় দুই দল। ৪৬তম মিনিটে ইউরি ঝিরকজভের বদলে মাঠে নামেন ভ্লাদিমির গ্রানাত।
প্রথমার্ধের মতোই রাশিয়ান দুর্গে একের পর এক আক্রমণ হানতে থাকে স্পেন। কিন্তু রাশিয়ার জমাট রক্ষণের সামনে অসহায়ই দেখাচ্ছিল ডিয়েগো কস্তা, ইসকো, আসেনসিওদের। স্প্যানিশদের মূহুর্মুহু আক্রমণ প্রতিহত করেও যেন কোন ক্লান্তি ছিল না স্বাগতিক ফুটবলারদের মধ্যে।
৬৫তম মিনিটে জিউভাকে বসিয়ে স্মলোভকে নামান রাশিয়ান কোচ, তখনো বেঞ্চেই বসা এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার সেরা খেলোয়াড় চেরিশেভ। তার খানিক বাদেই স্পেনের পক্ষে নামেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ম্যাচের শুরুর একাদশে থাকা ডেভিড সিলভার বদলে ইনিয়েস্তাকে নামান স্প্যানিশ কোচ হিয়েরো।
মিনিট তিনেক পর নাচোর বদলে কারভাহালকে নামিয়ে দেন হিয়েরো। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না স্পেনের পক্ষে। প্রথমার্ধে আত্মঘাতী গোল করা ইগনাশেভিক আবারও করে বসেন বাচ্চাসুলভ ভুল। তবে সে যাত্রায় কর্ণারের মাধ্যমে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।
Posted ২২:০৯ | রবিবার, ০১ জুলাই ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain