বুধবার ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র দুই ঘণ্টায় শেষ দুধ-ডিম-মাংস, ক্রেতাদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র দুই ঘণ্টায় শেষ দুধ-ডিম-মাংস, ক্রেতাদের ক্ষোভ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে রাজধানীর ৩০টি স্থানে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। রোজার আগের দিন থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ২৮ রমজান পর্যন্ত। শুরুতে বিক্রি কম হলেও জানাজানির পর বিক্রি ও চাহিদা বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর ও কালশীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পিকআপ ভ্যানের দুধ-ডিম-মাংস দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। অনেক ক্রেতা পাঁচ ধরনের পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন। ফেরত যাওয়া ক্রেতাদের আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে আসতে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের ক্যাশিয়ার মো. রহিম  বলেন, আমরা গরু, খাসি, ব্রয়লার ও খাসির মাংস এবং দুধ ও ডিম বিক্রি করছি। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসি ৯০০ টাকা, ড্রেস্ড ব্রয়লার মুরগী ২৫০ টাকায় বিক্রি করছি। দুধ ৮০ টাকা লিটার এবং ডিম এক ডজন ১১০ টাকা বিক্রি করছি। রোজার আগের দিন থেকে শুরু হয়েছে আমাদের এই কার্যক্রম। শুরুর কয়েকদিন সব পণ্য বিক্রি করতে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগত। এখন দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

ইয়াকুব নামে এক ক্রেতা কম মূল্যের এসব পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন। তাকে আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে আসতে বলেছেন বিক্রি সংশ্লিষ্টরা।

তিনি বলেন, তাদের পণ্যের দাম যে অনেক কম বিষয়টি সেরকম নয়। তবে যেহেতু এগুলো সরকারি কর্তৃপক্ষ বিক্রি করছে সেহেতু পণ্য খাঁটি হওয়ার কথা। এজন্যই আমি এর আগে দুইবার নিয়েছি। আজও নিতে এসেছিলাম কিন্তু পেলাম না।

কয়েকজন ক্রেতা বলেন, গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি হলে এটা কম নয়। অনেক ব্যবসায়ী নিজেরাই এই দামে গরুর মাংস বিক্রি করছেন। একইভাবে ব্রয়লার মুরগি আর ডিমের দামও বাজারের কাছাকাছি। ডিম বাজারে আজ ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। তারাও ১১০ টাকা বিক্রি করছে।

কালশীর এই ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম  বলেন, মিরপুরের অন্যান্য স্থানের চেয়ে কালশীতে চাহিদা বেশি। আজ এখানে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৫০ কেজি ব্রয়লার, ১০ কেজি খাসির মাংস, ২৪শ ডিম এবং ১০০ লিটার দুধ বিক্রি করেছি। বাজারের সাথে আমাদের পণ্যের মান ও দামে তফাৎ আছে বলেই চাহিদা বাড়ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালের দিকে আমাদের পণ্যগুলো বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সবার আগে গরুর মাংস শেষ হয়। অনেকে পরিমাণে বেশি চান কিন্তু আমরা দিই না। তবে দুধ ও ডিম চাইলে একটু বেশি দেওয়া হচ্ছে।

ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষের অভিযোগ আছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে একজন ক্রেতা তিন থেকে চার কেজি গরুর মাংস চায়। কিন্তু আমরা তো দিতে পারি না। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য তো ওইটা না। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল নিম্ন আয়ের মানুষরা যেন রমজানে স্বল্পমূল্যে দুধ-ডিম-মাংস খেতে পারে। কিন্তু অনেক সময় ধনী মানুষরাও আসছেন। ধনী-গরীব যেই হোক, লাইন দাঁড়ালে আমাদের দিতে হয়।

যেসব স্থানে বিক্রি চলছে

নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ি (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালসী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) কাকরাইল। আর স্থায়ী পাঁচটি বাজারগুলো হলো; মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।  সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:১৩ | শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com