নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশ লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির নেতারা।
তারা বলছেন, ২০০৮ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন যে ব্যক্তির লাখ টাকা সঞ্চয় ছিল আজ তার হাত কপর্দকহীন শূন্য। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা অর্থ লুট ও পাচার করে ইউরোপ আমেরিকায় নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। ফাইভ পার্সেন্টের এই ডামি সরকার গত ১৬ বছরে দেশের সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।
অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক খাত ধ্বংসের প্রতিবাদে বুধবার আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এবি পার্টির নেতারা এই দাবি করেন।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই শুধুমাত্র দলীয় বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা হরণ করে পরিকল্পিতভাবে লুটপাট করার উদ্দেশ্যেই সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দুর্বল করে দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আজ ৩৮টি ব্যাংক রেড জোনে রয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। নতুন করে জনগণের টাকা লোপাটের পরিকল্পনা থেকে ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খারাপ ব্যাংকগুলোর দায়-দেনা বাজেট থেকে দেওয়ার উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে। তার মানে সরকারি দলের কিছু দুর্বৃত্তের লুটপাটের দায়-দেনা দেশের জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে যে ঋণ সরকার নিয়েছে তার কিস্তি পরিশোধের জন্য সরকার আবার ঋণ নিতে চাচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধ না করে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি বন্ধ করতে চাইছে সরকার। যার ফলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের কৃষি খাত।
বিএম নাজমুল হক বলেন, এই সরকার শুধু আর্থিক খাত নয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ বিচার বিভাগের কাছে মজলুমরা বিচার পায় না, কোন একটি সাধারণ নির্বাচনও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে না।
Posted ১৬:৩২ | বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain