বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, আমি তৃণমূল বিএনপি কর্মীদের থেকে জানতে পেরেছি কেন্দ্রীয় বিএনপি ১০ দফা দাবি জানালেও তৃণমূল চায় এক দফা দাবি। আর সেই এক দফা দাবি হলো বর্তমান সরকারের পতন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারাদেশের মতো শরীয়তপুরের বিএনপি নেতাকর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ। শুধু বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়, সাধারণ মানুষও আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে শেখ হাসিনার পতনের জন্য।

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে শরীয়তপুর শহরের রাণী মহলের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, যারা সারা জীবন আওয়ামী লীগ করেছেন তারাও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন নাই। ভোট ডাকাতি হয়েছে, রাতে ভোট হয়েছে। আওয়ামী লীগের ওই সমস্ত নেতাকর্মীদের জন্য আমাদের দুঃখ হয়, কষ্ট হয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকারের ওপরে, প্রশাসনের ওপরে ভিসার নতুন নীতি আরোপ করেছে। যে ভোট চুরিতে সাহায্য করবে, যে ভোট ডাকাতিতে সাহায্য করবে, যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে, যে মিথ্যা মামলা দেবে, যে অন্যায়ভাবে বিরোধীদলকে আটক করে রাখবে, তাদের এবং তাদের পরিবারের ভিসা বাতিল হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার সময় আওয়ামী লীগ ১০ টাকায় চালের কেজি খাওয়াতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন ৭০ টাকা দামের চাল খেতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম ৩০০ টাকা, গরুর মাংস-খাশির মাংস দেখতে কেমন ভুলে গেছি। এখন বাজারে যাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ নাই, পানি নাই, গ্যাস নাই। এই ধরণের সরকারি উন্নয়ন চাই না। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির সরকার হতে বাঁচতে হলে, ফ্যাসিবাদ থেকে বাঁচতে হলে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে হবে।

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, আজকে এই সমাবেশ পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ বাধা দিয়েছে। বৈরী আবহাওয়াসহ সকল বাধা অতিক্রম করে মিছিল নিয়ে, ব্যানার নিয়ে আপনারা এই জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করেছেন, এটা প্রমাণ করে শরীয়তপুর জেলার নেতাকর্মী শহীদ জিয়ার সৈনিক, বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের সৈনিক।

জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম শাহাজাদা মিয়া,  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় সদস্য জামাল শরীফ হিরু, অ্যাডভোকেট তাহমিনা আওরঙ্গ প্রমুখ।

জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাছির উদ্দিন কালু।