মঙ্গলবার ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

সুপ্রিমকোর্ট বারের অনশন কর্মসূচিতে জাতীয় নেতারা :একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায় সরকার

  |   বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট

supreme-courter-barer-onস্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা বলেছেন, ৫ জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যার সব আয়োজন চূড়ান্ত করেছে শাসক। দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে ডিজিটাল প্রতারণার এ কালো নির্বাচন প্রতিহত করতে হবে। ভারতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে সরকারের প্রতারণামূলক এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশবাসী শুধু ভোটাধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে না,
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, উন্নতিও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। কাজেই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে যে কোনো মূল্যেই হোক এ নির্বাচনকে প্রতিহত করতে হবে।
সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে গতকাল সকাল ১০টায় এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকরা আরো বলেন, তামাশার নির্বাচন প্রতিহত করতেই আমরা আজ এ মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব দল ও পেশার নাগরিকদের প্রতারণার এ নির্বাচন প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানাচ্ছি। তারা বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে সরকারি দলের লাঠিয়াল বাহিনী। সরকারের নির্দেশেই ওইদিন লাঠিয়াল বাহিনী তাণ্ডব চালায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার হিসেবে আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা স্বাধীন মতামতের অধিকার হরণের পাশাপাশি বহুদলীয় গণতন্ত্রকেও হত্যা করতে যাচ্ছেন। স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা তার পিতাকে হার মানিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টে হামলাকারীদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানানো হয় এ অনশন কর্মসূচি থেকে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতীকী এ অনশন কর্মসূচিতে সুপ্রিমকোর্টের প্রবীণ আইনজীবীরা ছাড়াও সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান। আইনজীবীদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ অনশন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে। এ সময় বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, বর্বরভাবে আইনজীবীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলা কাদের বিরুদ্ধে? এ সরকার দেশ পরিচালনায় উপযুক্ত? ১৫৩টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাকি আসনগুলোতে নির্বাচন করা হচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন, তিনি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই হলো ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার নমুনা। সরকার গত ৫ বছরে দুর্নীতির ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গোটা দেশটাকেই সরকারি দলের নেতারা গিলে খেয়ে ফেলতে চেয়েছে। ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে সরকার একতরফা এ পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করেছে। সবাইকে নিয়ে এ নির্বাচন প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়বে। তিনি বলেন, এরশাদকে নির্বাচনে জোর করে নেয়া হয়েছে। বাকি আসনগুলোতে নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ ধরনের ঘটনা আর কখনো ঘটেনি। এরশাদকে অসুস্থ বলে র্যাব হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এটা কি র্যাবের কাজের মধ্যে পড়ে? এখন থেকে আপনারা অসুস্থ হলে র্যাবকে ডাকবেন। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, আমরা এই অন্যায় নির্বাচনকে ঠেকিয়ে রাখতে সরকার ছাড়া সবাই একত্রিত হয়েছি। মানুষকে বঞ্চিত করে এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এটাই কী গণতন্ত্র? ন্যায়বিচার? জাতি আজ মহাসঙ্কটে। আপনাদের এটি প্রথম পদক্ষেপ। দ্বিতীয় পদক্ষেপে জনগণকে একত্রিত করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনাদের আন্দোলনের কারণে অনেক সরকারের পতন হয়েছে।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, গত ২৯ ডিসেম্বর সরকার ইতিহাসের জঘন্যতম কাজটি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শাসক দলের লাঠিয়াল বাহিনী সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরো জোরদার করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এরকম দুই ঘণ্টার অনশন দুই হাজার বছর ধরে পালন করলেও স্বৈরাচার এ সরকারের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। এখানে আপনারা অবস্থান নিতে পারতেন, অবস্থান যদি একমাস করতে পারতেন, শেখ হাসিনার সরকার এই দেশে থাকতেই পারতো না। তিনি আরো বলেন, আমার যা মনে আসে আমি না বলে থাকতে পারি না। আপনারা এখানে একটি প্রতীকী অনশন করছেন। ১০টায় এসে ১২টায় আবার গিয়ে খাবেন। গ্রামের মানুষ এটাকে তামাশা ছাড়া আর কিছু মনে করছে না। কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের লক্ষ কোটি মানুষ হাইকোর্টকে একটি পবিত্র স্থান মনে করে। যেখানে সুপ্রিমকোর্ট হবে আমাদের প্রত্যেকেরই আশ্রয়স্থল, সেখানে সুপ্রিমকোর্টেরই কোনো আশ্রয় নাই, নিরাপত্তা নাই।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সেদিন মহিলা আইনজীবীদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, এ ধরনের আক্রমণ আমি আর দেখি নাই। আমি জানি না, আপনারা যারা এই কোর্টে প্রতিদিন আসেন, এই কোর্টের প্রতি আপনাদের কতটুকু শ্রদ্ধা আছে, কতটা সম্মানবোধ, কতটা ভীতি, কতটা সংযম আছে, আমি জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের লক্ষ কোটি মানুষ হাইকোর্টকে একটি পবিত্র স্থান মনে করে।
আ স ম রব বলেন, শেখ হাসিনা হচ্ছেন বিশ্বের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো প্রহসনের নির্বাচন স্থগিত করে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিলেও নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতেই প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ১৫৩ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। লজ্জা পাচ্ছে বলে অবশিষ্টগুলো নিতে পারছে না। তবে ডিজিটাল কায়দায় ৫ জানুয়ারি অবশিষ্টদেরও নির্বাচিত ঘোষণা দেয়া হবে। এটি হচ্ছে ভাগাভাগির নির্বাচন। এ নির্বাচনের সঙ্গে দেশের মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা চলছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে। তিনি বলেন, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না গেলেও সরকার ডিজিটাল কায়দায় নির্বাচন করবে। তারা ৮০ শতাংশ ভোট গ্রহণ দেখাবে। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, বাড়াবাড়ি করবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করুন। দালালি করে কোনো বিশেষ দলকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু অনেককে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা হয়েছে। পুলিশ বললেন তারা তো ফ্ল্যাগ নিয়ে গেছেন। কি নির্লজ্জ মিথ্যাচার! বরিশালে আসেন বাঁশির লাঠি দেখবেন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, সুপ্রিমকোর্টে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, সেদিন আইনজীবীদের যদি বের হতে দেয়া হতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। এ ঘটনায় তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে তদন্তের দাবি করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে কেন কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয় নাই এ বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি বাংলাদেশের স্লোগান নয়। যদি ‘জয় বাংলাদেশ’ স্লোগানও হতো তাহলেও জাতি তা মেনে নিত। ভারতের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে ফেলতে যাচ্ছেন। ভারত কোনো সময়ই বাংলাদেশের কল্যাণ চায়নি। বরং বাংলাদেশ থেকে একতরফা সুবিধা নেয়ার জন্যই ভারত শেখ হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে চাইছে।
জয়নুল আবেদিন বলেন, আমার ৩৫ বছরের ওকালতির জীবনে এমন বর্বরোচিত হামলা দেখিনি। যেভাবে লাঠিপেটা করা হয়েছে তা অচিন্ত্যনীয়। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি এই বারের সদস্য ছিলেন। আপনার উচিত ছিল আইনজীবীদের নিয়ে সভা করার আগে সুপ্রিমকোর্টের নির্বাচিত সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ছাড়িয়ে আনা। আপনি হামলাকারীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা না করে সিনিয়র আইনজীবীদের ডেকেছেন এটা দুঃখজনক। সভা ডাকলেন আর অ্যাটর্নি জেনারেল সভা-সমাবেশ না করার বিষয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল এটাকে ব্যবহার করে বিভ্রান্ত করা।
অ্যাটর্নি জেনারেলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আইনজীবী হয়ে আইনজীবীদের জামিনের বিরোধিতা করা অতীতে আমরা দেখিনি। বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল বারের সিনিয়র সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটক করার পরেও জামিন যাতে না হয় তার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা তার এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে জয়নুল আবেদিন বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনের মুক্তির ব্যবস্থা করুন। কারা অন্তরীণ সিনিয়র আইনজীবীদের মুক্তির জন্য বলুন। তার আগে আপনি সভা-সমাবেশ না করার কোনো কথা বললে আমরা মানবো না, মানি না।
প্রতীকী অনশনে সংহতি প্রকাশ করতে এসে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, সুপ্রিমকোর্টে হামলা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। কিন্তু বাংলার জনগণ তা হতে দেবে না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি এবং এরশাদকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শুধু প্রহসনের নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, আজ সারাদেশে প্রতিবাদের যে ঢেউ উঠেছে তাতে সরকারের পতন অনিবার্য। দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, সুপ্রিমকোর্টে হামলা ইতিহাসে কলংকজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, দেশের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ইতোমধ্যে বলেছেন, এ ঘটনায় সুপ্রিমকোর্টের জানাজা হয়ে গেছে। আবদাল আহমদ বলেন, এর আগে এরাই সুপ্রিমকোর্টে লাঠি মিছিল এবং বিচারকদের এজলাশ ভাংচুর করেছিলেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোর্ট থেকে সুয়োমোটো রুল ইস্যু করার দাবি জানান তিনি।
হামলার ঘটনায় বিচারের দাবি ছাড়াও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মীর মো. নাছির উদ্দিন, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মুক্তি দাবি করা হয়।
প্রতীকী অনশনে আইনজীবীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও রুহুল কুদ্দুস কাজল, বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরপ্রতীক, সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী, সাবেক সম্পাদক সাইদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া, সুপ্রিমকোর্ট বারের সহ-সভাপতি এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান ও মো. শাহজাদা, অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, গরিবে নেওয়াজ, ঢাকা বারের সম্পাদক খোরশেদ মিয়া আলম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবেদ রাজা, সাবেক সম্পাদক মহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, ইকবাল হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের কোষাধ্যক্ষ রবিউল করিম, সাবেক সহ-সম্পাদক এস এম এম কবির খান, বারের কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান সেলিম, মিজানুর রহমান মাসুম প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:২৯ | বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com