| বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে জাতীয় পতাকা হাতে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের ‘মার্চ ফর ডেমোকেদ্ধসি’ বা গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় অংশ নেবে সারা দেশের সাংবাদিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে ‘বল্পব্দ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে’ আয়োজিত সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, যেহেতু বর্তমানে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা’ ও মানবাধিকার বলতে কিছু নেই, বল্পব্দ রয়েছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এবং বিনা বিচারে কারারু™ব্দ রয়েছেন স¤ক্সাদক মাহমুদুর রহমান। তাই গণতল্পú ও গণমাধ্যমের স্ট^াধীনতা টিকিয়ে রাখার স্ট^ার্থেই সাংবাদিকরা ওই কর্মসহৃচিতে অংশ গ্রহণ করবেন। এছাড়া একই দিন পুর্বঘোষিত সাংবাদিকদের মহাসমাবেশও জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে। সব বাধা পেরিয়ে রোববারের ওই মহাসমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য তারা সারা দেশের সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান জানান।
গতকাল বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ ঘোষণা দিয়ে অবিলল্ফে^ বল্পব্দ গণমাধ্যমগুলো খুলে দেয়ারও দাবি জানান।
বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারন স¤ক্সাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডিইউজে সাধারণ স¤ক্সাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান। ডিইউজের নির্বাহী সদস্য এরফানুল হক নাহিদের পরিচালনায় এতে ডিইউজের সাংগঠনিক স¤ক্সাদক রফিক মুহাম্মদ, প্রচার স¤ক্সাদক আকন আবদুল মান্নান, ডিইউজের দৈনিক সংগ্রাম ইউনিট প্রধান শহিদুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক রেজাউল কবির শিকদার রেজা প্রমুখ উপস্টি’ত ছিলেন।
২৯ ডিসেল্ফ^রের পুর্বঘোষিত মহাসমাবেশে সারা দেশের সাংবাদিকদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সভাপতির বক্তৃতায় বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ওইদিন সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশ শেষে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সাংবাদিকরা গণতল্পেúর অভিযাত্রায় যোগ দেবে। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে সাংবাদিকরা কোথাও নিরাপদ নয়। বেডরুমে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের হত্যা করা হচ্ছে। ভোটার বিহীন একতরফার তামাশার নির্বাচন সাংবাদিকরা কখনো মেনে নেবে না উল্কেèখ করে তিনি বলেন, যতদিন আমার দেশ, দিগল্পø ও ইসলাম টিভি চালু, স¤ক্সাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত, সাগর-রুনি হত্যার বিচার এবং দেশে গণতল্পú প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যল্পø সাংবাদিকদের আন্দোলন চলবে।
শওকত মাহমুদ বলেন, গণতল্পú রক্ষার জন্য বিরোধী দলের ঘোষিত গণতল্পেúর অভিযাত্রায় অংশ নেয়ার জন্য সারা দেশের সাংবাদিকরা প্রস্টøুত রয়েছে। সাংবাদিক এই নেতা বলেন, যেহেতু বর্তমানে দেশে গণতাল্পিúক ব্যবস্ট’া ও মানবাধিকার বলতে কিছু নেই, বল্পব্দ রয়েছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এবং স¤ক্সাদক মাহমুদুর রহমান কারারু™ব্দ। তাই সংবাদপত্রের স্ট^াধীনতা নিশ্চিত করার স্ট^ার্থেই সাংবাদিকরা ওই কর্মসহৃচিতে অংশ গ্রহণ করবেন।
কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, বর্তমানে দেশের প্রধান ও একমাত্র সমস্যা হচ্ছে শেখ হাসিনা। তার উচ্চাভিলাষীর কারণেই সারা দেশ আজ অ¹িুগর্ভ। সর্বত্র শুধু লাশ আর লাশ। এই এক ব্যাক্তিকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে পারলেই কেবল দেশ, গণতল্পú ও গণমাধ্যম মুক্ত হবে। অন্যথায় দেশের ধংস অনিবার্য।
দেশ বর্তমানে কঠিন ষড়যল্পেúর সম্মুখিন উল্কেèখ করে সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, দেশের স্ট^াধীনতা-স্ট^ার্বভৌমÍ^ ও সংবাদপত্রের অস্টিøÍ^ টিকে রাখতে আগামী রোববারের ‘মার্চ ফর ডেমোকেদ্ধসিতে’ সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা অংশ গ্রহণ করবেন। তিনি সারা দেশের পেশাজীবীদেরকে ওই অভিযাত্রায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান তার বক্তৃতায় বলেন, গণতল্পú ও গণমাধ্যমের স্ট^াধীনতা নিয়ে আমরা গভীর উ™ি^¹ু। বেডরুমে ঢুকে সাংবাদিকদের হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্ট’ায় আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না।
Posted ১৯:৫১ | বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin