শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

গণমাধ্যমকর্মীরা করোনাকালের নির্ভীক যোদ্ধা : তথ্যমন্ত্রী

  |   সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট

গণমাধ্যমকর্মীরা করোনাকালের নির্ভীক যোদ্ধা : তথ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যমকর্মীদের করোনাকালের নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত ‘চিত্রকর্ম ও আলোকচিত্রে করোনায় গণমাধ্যমের লড়াই’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

বিজেসি’র ট্রাস্টি সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সভাপতিত্বে আলোচনায় বরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও গুলশান হোসেন অনলাইনে যোগ দেন।,

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার শুরু থেকেই ভয়ভীতি উপেক্ষা করে অত্যন্ত সাহসিতার সঙ্গে সাংবাদিকরা কাজ করে চলেছেন, সত্যিই তা প্রশংসনীয়। আমি কোনো সাংবাদিককে ভীতি নিয়ে হাতগুটিয়ে বসে থাকতে দেখিনি। এতে করে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন, যা আমি কখনো ধারণা করতে পারিনি।’

করোনায় যখন দেশে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয় তখন পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিকদের আর কিছু অন্যান্য গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এতে একে একে ৩৭ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন, কয়েকশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

‘এই করোনাকালে সঠিক সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছানোর কাজে এবং গুজব এবং কুচক্রী মহলের নানামুখী ষড়যন্ত্র বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনার শুরুতে যে অপচেষ্টা ছিল, সেগুলোর বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিক, মূলধারার গণমাধ্যমগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।,

করোনার সময় বিজেসিসহ সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনাকালে সাংবাদিকদের যেভাবে সহায়তা দেয়া হয়েছে, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল বা শ্রীলঙ্কা কোনো জায়গায় সাংবাদিকদের করোনাকালে এ ধরনের সহায়তা করা হয়নি। শুধু মৃত্যু হলেই সেখানে সহায়তা দেয়া হয়েছে। আমরা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত সাংবাদিক যারা দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না, সেই সাংবাদিকদের আমরা এককালীন সহায়তা দিয়েছি। সেটি এখনও অব্যাহত আছে। বিজেসিকে অনুরোধ জানাব তাদের তালিকা যদি আমাদের দেন তাহলে আমরা সহায়তা করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিনের জন্যও আগাম অর্থ দিয়ে রেখেছেন, যাতে আমাদের দেশ প্রথম দিকে ভ্যাকসিনটি পায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা আরো কয়েক মাস থাকবে, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।.

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, সাংবাদিকরা যে সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তাদের মধ্যে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের পাশে যেভাবে দাঁড়ানোর প্রয়োজন ছিল, তা দাঁড়ায়নি। শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, এই সময় শুধু ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো ক্যানভাসকে না দেখে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনার জন্য। অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করা হয়নি। অনেক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।,

আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে সঙ্কট মোকাবিলা করে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক এবং অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করতে হবে- বলেন ড. হাছান।

হাছান মাহমুদ বলেন, যে সাংবাদিকরা দেশ ও সমাজকে পথ দেখায়, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, অব্যক্তদের পক্ষে কথা ব্যক্ত করে, ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করে, উপেক্ষিতের পক্ষে কথা বলে, তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দরকার এবং তাদের যে সব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে, এ লক্ষ্যে শিগগিরই আসছে গণমাধ্যমকর্মী আইন।,

মন্ত্রী এ সময় সরকারের কাজের প্রশংসা ও সমালোচনা দুই-ই থাকতে হয় উল্লেখ করে বলেন, একটি বহুমাত্রিক সমাজে সমালোচনা থাকতে হয়। গণতন্ত্র এবং বহুমাত্রিক সমাজে অন্যতম অনুসর্গ হচ্ছে সমালোচনা। তবে, সমালোচনার পাশাপাশি যদি ভালো কাজেরও প্রশংসা হয়, তাহলে যারা ভালো কাজ করে তারা উৎসাহিত হবে।

বিজেসি’র নির্বাহী শাহনাজ শারমিনের উপস্থাপনায় সভাস্থলে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা গবেষক ডা. সালেহ মাহমুদ তুষার, চিত্রশিল্পী মো: মনিরুজ্জামান ও তাহমিনা হাফিজ লিসা, প্রয়াত সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা রিনা, বিজেসি’র সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, ট্রাস্টি রাশেদ আহমেদ, নির্বাহী মানস ঘোষ প্রমুখ করোনাকালে গণমাধ্যমকর্মীদের অকুতোভয় সংগ্রামের চিত্র এবং সম্প্রচার খাতের কর্মীদের জন্য বিজেসি’র কর্মতৎপরতার ওপর আলোকপাত করেন।,

বরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, চিত্রকর গুলশান হোসেন, মো: মনিরুজ্জামান, তাহমিনা হাফিজ লিসা ও নাসির আলী মামুনের চিত্রকর্ম ও বিজেসি সদস্যদের তোলা শতাধিক আলোকচিত্রসমৃদ্ধ প্রদর্শনীটি ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২০:৫৩ | সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com