রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকল রাজনৈতিক দলের আমাদেরকে আস্থায় নেওয়া উচিত: ইসি আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

সকল রাজনৈতিক দলের আমাদেরকে আস্থায় নেওয়া উচিত: ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন,আমরা আশা করবো যে, সকল রাজনৈতিক দলের আমাদেরকে আস্থায় নেওয়া উচিত। কারণ আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে, আমরা কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছি। প্রত্যেকটা নির্বাচনই আমরা সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা করেছি।

 

আজ (১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো যে, সকল রাজনৈতিক দলের আমাদেরকে আস্থায় নেওয়া উচিৎ। কারণ আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে, আমরা কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছি। প্রত্যেকটা নির্বাচনই আমরা সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা করেছি। আমরা আশা করি সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমাদের পক্ষ থেকে যত রকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা নেবো। পার্টিসিপেটরি নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি।

নির্বাচন কমিশনার জানান, যারা নির্বাচনে আসছে না তাদেরকে নির্বাচনে আনার জন্য শেষ পর্যন্ত আপনাদের কোনো ভূমিকা থাকবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো আছে, শেষ পর্যন্ত থাকবে। বুঝতে হবে আমাদের ভূমিকাটা কি। আমরা আশাও করি যে, সবদল নির্বাচনে আসবে। কারণ আমাদের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করা। আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করি, তাহলে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে।

 

যারা আসছেন না তারা বলছেন যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটা তারা মনে করেন না। কিন্তু এই মনে করার পিছনে অন্তত আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা সম্পূর্ণরুপে স্বাধীনভাবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আমাদের যেসমস্ত সংবিধান এবং আইন দায়িত্ব দিয়েছে, ক্ষমতা দিয়েছে। আমরা তার পুরোটা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করবো। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা ভোটারদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে চাই।

 

ভোট পড়ার হার কম হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইতিমধ্যে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোর নানান রকম পরিস্থিতি ছিলো। একটি বড় রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের যারা সাপোর্টার তারা তো ভোট দিতে আসেন না। এ জন্য ভোটের কাস্টিং কমে যাচ্ছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনার মধ্যে আমাদের কিছু নির্বাচন করতে হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে তখন অনেকে ভয়ে ভোট দিতে আসেননি। এছাড়া উপনির্বাচনগুলো যখন হয়, উপনির্বাচনের মেয়াদ থাকে অল্প্ এবং এতে সরকারের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই ভোটদানে আগ্রহ কম থাকে।

 

মো. আলমগীর আরো বলেন,সামনের যে জাতীয় নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে কিন্তু সরকার পরিবর্তন হতে পারে। সেই সুযোগ যেহেতু এখানে রয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগন যে দলকে ভোট দেবে, সেই দল সরকার গঠন করবে। তো সেক্ষেত্রে ভোটার ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

 

২ মার্চ ভোটার দিবসের বিষয়ে তিনি বলেন, ভোটার দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে- সার্কভূক্ত দেশগুলোর একটা সংস্থা আছে। তারা একসময় দেখলেন যে সার্কভুক্ত দেশগুলোর ভোটারদের যে অধিকার, দায়িত্বগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তারা সচেতন নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা চর্চার ক্ষেত্রে ভোট এবং ভোটারের ভূমিকা সবচেয়ে বড়। ভোটাররা যদি ভোটার হওয়া এবং ভোটদানের ক্ষেত্রে নিষ্কৃয় থাকে, তারা যদি আগ্রহ না দেখায়। তাহলে তো গণতন্ত্রের যে সুষ্ঠু চর্চা, সেটা কিন্তু অনেকটা নিখুঁত হয় না। এজন্যই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, প্রতিবছর সার্কভুক্ত দেশগুলো তাদের বিধানমত বছরে একটি দিন ভোটার দিবস হিসেবে পালন করবেন। যাতে দেশের সব মানুষ জানতে পারেন যে, এইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

 

তিনি আরো জানান, ভোটারদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে, ভোটদানে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই জিনিসটা একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানানো। সে অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে আমরা এটি করে আসছি। আগে ১ মার্চ এই দিবসটি পালন করা হতো। এখন ২ মার্চ পালন করা হয়। এদিন যারা আগের ভোটার আছেন, যারা মারা গেছেন তাদের নাম কাটা, নতুন ভোটার হয়েছেন এটি হিসাব করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে কত ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তা এদিন জানতে পারবেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৫৫ | বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com