নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
রাজশাহীর বিভাগীয় গণসমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা মঞ্চে ওঠেন। তাদের দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা। এ সময় হাত নাড়িয়ে অভিনন্দন জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য আসন ফাঁকা রেখে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় বিভাগীয় সমাবেশ। প্রথমে চলে সঙ্গীতানুষ্ঠান। কোরআন তেলাওয়াতের পর স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে তিন দিন আগে থেকে আসেন নেতাকর্মীরা। তবে সমাবেশস্থলে কেউ প্রবেশের অনুমতি পাননি। অবশেষে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে রাজশাহী নগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড় সংলগ্ন মাদরাসা মাঠে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল ও স্লোগান নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন তারা।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ আছে বাস চলাচল। শুক্রবার থেকে চলছে না তিন চাকার যানও। এতে সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। তবে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা হেঁটে, মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে আসেন।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের প্রত্যেক বিভাগে গণসমাবেশ করেছে বিএনপি।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর শনিবার রাজশাহীতে শেষ গণসমাবেশ করছে দলটি। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ।
এদিকে বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে আছে পুলিশ। রাজশাহী নগরীর সবগুলো প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে থাকছে পুলিশের কড়া নজরদারিও।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, শহরের ১৭টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরজুড়ে সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মাঠে কাজ করছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
Posted ০৮:১৯ | শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain