রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে ৫০ হাজারেও কেনা গেল না মোরগটি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

যে কারণে ৫০ হাজারেও কেনা গেল না মোরগটি

পার্কে কত খেলনা আছে। দেখার আছে আরো অনেক কিছু। কিন্তু শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবার নজর একটি মোরগের দিকে। চার পায়ে লাফিয়ে চলছে মোরগটি। এমনই দৃশ্য দেখা যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কে। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ এখন এই চার পায়ের মোরগ। এক কেজি ওজন হওয়ার পর থেকেই এটি কিনে নেয়ার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দাম উঠেছে মোরগটির। তবে আপাতত বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই।

 

জানা গেছে, নাচোল উপজেলার পৌর এলাকার ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম মেশিনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর ব্যবসা করতেন। ১০ মাস আগে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি শফিকুল ইসলামকে বেশকিছু দেশি মুরগির ডিম দেন বাচ্চা ফোটানোর জন্য। সব ডিমেই বাচ্চা ফোটে। খেয়াল করে দেখেন, এরমধ্যে একটি বাচ্চার চারটি পা।

 

বিষয়টি ডিমের মালিক দেখতে পেয়ে সব বাচ্চা নিয়ে গেলেও ওই বাচ্চা রেখে যান। শফিকুলের বাড়িতেই বড় হতে থাকে বাচ্চাটি। একটু বড় হওয়ার পর বোঝা যায়, এটি মুরগি নয়, মোরগ। চার পায়ের এ মোরগের খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে। জানতে পেরে তিনশ টাকা দিয়ে মোরগটি কিনে নেন নাচোলের গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কের মালিক মুকুল মাস্টার।

 

এরপর থেকে সেখানেই রয়েছে মোরগটি। মোরগটির ওজন এখন প্রায় দুই কেজি। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ এখন এই চার পায়ের মোরগ। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন শুধু মোরগটি দেখার জন্য। আবার কেউ কেউ কিনে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, মোরগটির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৫০ হাজার টাকা।

 

শনিবার সকালে নাচোলের গ্রিনল্যান্ড পার্কে গিয়ে দেখা যায়, বিনোদনের জন্য বেশকিছু রাইড ও পশুপাখি থাকলেও অনেকেই চার পায়ের মোরগটি দেখতে ব্যস্ত। কেউ কেউ ছবি ও সেলফি তুলছে।

 

পার্কে ঘুরতে আসা নিয়ামতপুরের বাসিন্দা শামীম ও ফাহিমা বলেন, চার পায়ের মোরগটি দেখে অদ্ভুত লেগেছে। কিন্তু মোরগটির রঙ খুব সুন্দর। দেখে ভালোই লাগল।

 

পার্কের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, পার্কে মোরগটি নিয়ে আসার পর থেকেই দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ যেন এটি। মোরগটি দেখার জন্যই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছেন। শিশুরাও মোরগটি দেখে আনন্দ পাচ্ছে। এক কেজি ওজন হওয়ার পর থেকেই এটি কিনে নেওয়ার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দাম উঠেছে মোরগটির। তবে আপাতত বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই।

 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চার পায়ের মোরগ বেঁচে আছে- এটি বিরল। সরাসরি গিয়ে দেখলে এর মূল রহস্য বোঝা যাবে বলে জানান তিনি।  সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৬:০১ | রবিবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com