| রবিবার, ০১ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারকে অবিলম্বে দৈনিক আমার দেশসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ আজ ভয়াবহ সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। মানুষ আতঙ্কিত। আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তারা জনগণের শত্রু, স্বাধীন গণমাধ্যমের শত্রু।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘প্রথম দফায় দৈনিক আমার দেশ বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের চতুর্থ বার্ষিকী এবং ১ জুন সংবাদপত্রের নতুন কালো দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মস–চিতে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মাহবুব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। তাই গণমাধ্যমের শত্রু এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতনকে ত্বরানি¦ত করতে হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ডিইউজের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব এম এ আজিজ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ¡বিদ্যালয়ের অর্থপেডিক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী বিশ¡বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শত নাগরিক রাজশাহী কমিটির সদস্য সচিব ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, এ্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডিইউজের সংগ্রাম ইউনিট চীফ শহিদুল ইসলাম, কবি কামার ফরিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের আমার দেশ ইউনিট চীফ বাছির জামাল।
সরকার কারারুদ্ধ সম্পাদক মাহমুুদুর রহমানের ওপর শারীরীক ও মানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, তার মতো একজন মানুষকে গত ১৪ মাস ধরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অথচ কত চোর-ডাকাত, খুনিরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, সরকারের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে আপনারা সোচ্চার হোন। আমরা আইনজীবী সমাজ আপনাদের পাশে থাকবো।
দেশে বর্তমানে আইনশৃúখলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর বড় প্রমাণ নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীর হত্যাকান্ড। দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটছে। অথচ সরকার এসবের কোনো ক–ল-কিনারা করতে পারছে না। তিনি বলেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, আইনজীবীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, পেশাজীবীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। সর্বোপরি দেশের কেউ এই আওয়ামী লীগের হাতে নিরাপদ নয়।
খন্দকার মাহবুব বলেন, যে সরকার গণতন্ত্রে বিশ¡াস করে না, মানবাধিকারে যিশ¡¦াস করে না, জনগণের সাংবিধানিক অধিকারে বিশ¡াস করে না এদেরকে এভাবে মানববন্ধন করে বিতারিত করা যাবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে হবে।
কবি আবদুুল হাই শিকদার বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের ঘারে চেপে আছে। বর্তমান সরকার খুনি, সন্ত্রাসী ও চোরের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি সর্বদা মিথ্যাচারে লিপ্ত। এই সরকার ন্যায়ের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে, সর্বোপরি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতে দেশ এক মুহ–র্তও নিরাপদ নয়। তাই ভালোয় ভালোয় ক্ষমতা ছেড়ে না দিলে কিভাবে ক্ষমতা থেকে নামাতে হয় তা আমাদের জানা আছে। এ সময় তিনি আগামী ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ কর্মস–চির ঘোষণা দেন।
এম এ আজিজ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারী বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে দেশে খুনের রাজনীতি চালু করেছে। আর মাহমুদুর রহমানের মতো মানুষকে ১৪ মাস ধরে কারাগারে রেখেছে। এ সরকার এতটাই নির্দয় যে তারা মুসোলিনী ও হিটলারকেও হার মানিয়েছে।
দেশের পক্ষে কথা বলার কারণেই সরকার মাহমুদুর রহমানকে কারারুদ্ধ করেছে উল্লেখ করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ভোট ডাকাতির কালচারের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ যা খুশি তাই করছে। তাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে বিজিবি সদস্যকে হত্যার কোনো প্রতিবাদ করা হচ্ছে না।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্র , সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন নির্বাসিত। মিডিয়া বন্ধ ও সাংবাদিক নির্যাতন আওয়ামী লীগের মজ্জাগত স্বভাব। #
Posted ১১:৫৯ | রবিবার, ০১ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin