নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৩ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আজ। গুরুপূর্ণিমার দিন এই চাঁদ দেখতে মুখিয়ে আকাশপ্রেমীরা। চাঁদ যে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে তাই নয়, বছরের এই সময়ে চাঁদ আকাশের সবচেয়ে নিচের দিকে থাকে।
জুলাইয়ের পূর্ণিমা, যাকে ‘বাক মুন’ নামেও ডাকা হয়। চলতি বছরের প্রথম এই সুপারমুন দেখা যাবে আজ। সুপারমুন রাতের আকাশে অন্যান্য পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল ও ৭ শতাংশ বড় দেখাবে।
এবারের পূর্ণিমায় চাঁদ অন্যান্য সময়ের চেয়ে পৃথিবীর অনেক বেশি কাছাকাছি আসবে। তাই একে ডাকা হচ্ছে সুপারমুন বলে। এটাই বছরের প্রথম সুপারমুন বলে আকাশপ্রেমীদের উৎসাহ তুঙ্গে। এদিন চাঁদকে তুলনামূলকভাবে বেশি বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে। চাঁদ থাকবে পৃথিবী থেকে মাত্র ৩ লাখ ৬১ হাজার ৯৩৪ কিলোমিটার দূরত্বে।
কেবল সোমবারই নয়, মঙ্গলবারও চাঁদকে খুবই উজ্জ্বল ও বড় দেখাবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই চাঁদ সুপারমুন হলেও এবছর যে চারটি সুপারমুন দেখা যাবে তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট। এরপর ১ আগস্ট, ৩০ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টেম্বর যে সুপারমুন দেখা যাবে সেখানে চাঁদকে আরও বড় দেখাবে।
জুলাইয়ের সুপারমুনকে কেন ‘বাক মুন’ বলা হয়
দেশে দেশে পূর্ণিমার চাঁদের নামকরণের ঐতিহ্য রয়েছে। তেমনি নেটিভ আমেরিকান লোককাহিনীতেও উপজাতিরা চাঁদ চক্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রাকৃতিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে চাঁদের নাম নির্ধারণ করে। এই নামগুলো কিছু নির্দিষ্ট সময়কে বোঝাতে, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বোঝাতে এবং কৃষি ও শিকারে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
‘বাক মুন’ ধারণাটি নেটিভ আমেরিকান উপজাতির ঐতিহ্যে থেকে এসেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে এই চাঁদের নামকরণ করা হয় বিশেষ প্রজাতির পুরুষ হরিণের নামে। এই হরিণ সাধারণত জুলাই মাসে তাদের বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে পৌঁছায়। এ সময়টাতে এরা ‘ভেলভেট’ নামে পরিচিত- যা মূলত নরম চুলে আচ্ছাদিত কিছু বোঝায়।
নেটিভ আমেরিকান উপজাতিরা জীবিকা নির্বাহের জন্য শিকারের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। ‘বাক মুন’ দিয়ে তারা সেই সময়কে নির্দেশ করে- যা শিকারের মরসুম হিসেবে পরিচিত। এই সময়ে (জুলাই মাসে) ব্যাপকভাবে হরিণ শিকার করা যেত।
সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম
Posted ০৯:০৮ | সোমবার, ০৩ জুলাই ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain