| বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাসাদুক হুসাইন জিলানিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন বৃহস্পতিবার সকালে জিলানিকে শপথ পড়ান।
এর আগে বহুল আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি ইফতেখার মুহাম্মদ চৌধুরী বুধবার সরে দাঁড়ান। জিলানির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও ইফতিখার চৌধুরিসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতেখার চৌধুরী ২০০৫ সালে তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফের শাসনামলে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট মুশাররফ একবার তাকে সরিয়ে দিয়ে আইনজীবীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে তাকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হন। এক পর্যায়ে জেনারেল মুশাররফকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করার পেছনে চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে চৌধুরীর পক্ষ থেকে দেয়া রায় নিয়ে পাকিস্তানে দুই ধরনের জনমত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিনি নির্ভয়ে রাজনীতিবিদ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে জবাবদিহীতার আওতায় আনতে পেরেছিলেন। অন্যদিকে তার সমালোচকরা বলছেন, তিনি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
গত বছরের জুন মাসে ইফতেখার চৌধুরী আদালত অবমাননার অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তার এ পদক্ষেপকে অনেকে ‘বিচারবিভাগীয় অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছিল। পাকিস্তানের আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন প্রধান বিচারপতি জিলানি সেই তুলনায় অনেক বেশি নমনীয় আচরণ করবেন এবং রাজনৈতিক বিষয়ে নীরব থাকবেন।
২০০৪ সাল থেকে জিলানি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৭ সালের নভেম্বরে জেনারেল মুশাররফ দেশে জরুরি আইন জারি করে যেসব বিচারপতিকে বরখাস্ত করেছিলেন তাদের মধ্যে জিলানি ছিলেন অন্যতম। সূত্র: আল জাজিরা
Posted ১৭:২১ | বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin