সোমবার ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় গারো পাহাড়ের দাওধারা

শাহরিয়ার মিল্টন   |   রবিবার, ০৩ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় গারো পাহাড়ের দাওধারা

শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর : প্রাকৃতিক নৈস্বর্গিক শোভা মন্ডিত পর্যটনের অপার সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিতে পারে শেরপুরের গারো পাহাড়ের দাওধারা পর্যটনকেন্দ্রটি। জেলায় যে দুটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোর চেয়ে এই পর্যটনকেন্দ্রটির উঁচু নিচু লাল পাহাড়ের নয়ানাভিরাম মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে ভ্রমণপিয়াসীরা উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত হবেন বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাই স্থগিত হওয়া এই পর্যটন কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করার জোর দাবি জানান তারা।

জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় দেশের পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে নতুন বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন শেরপুর জেলা প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা কাটাবাড়ি পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ২২০.৭৭ একর পাহাড়ি বনভূমি নিয়ে নতুন একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থান নির্বাচন করে ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল তৎকালীন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার ওই স্থানে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। একইসঙ্গে ওই পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তায় মাটি কাটার কাজ ও একটি গেট নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল দুজনেই বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে থমকে যায় ওই পর্যটন কেন্দ্রের চলমান কাজ।

এলাকাবাসী জানান, এখানে নতুন একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসবেন। এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব পাবে অন্যদিকে স্থানীয়দের জন্য সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান। তাই ওই এলাকায় পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্রটির দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবি জানান তারা।

দাওধারা এলাকার বাসিন্দা হারেজ আলী বলেন, আমাদের পূর্বদিকে আছে নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও পশ্চিমদিকে আছে মধুটিলা ইকোপার্ক। আমরা এর মাঝখানের এলাকার বাসিন্দা। এখানের মানুষের নেই কোনো কর্মসংস্থান। তাই এখানে যদি নতুন পর্যটন কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয় তাহলে এখানের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

আরেক বাসিন্দা রাশিদা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ আমাদের চলার কোনো পথ নেই। আমরা এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন থেকে লাকড়ি কুড়িয়ে বিক্রি করে কষ্ট করে সংসার চালাই। দাওধারা পাহাড়ে যদি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হয় তাহলে আমরা অন্তত পানি বিক্রি করে হলেও আমাদের সংসার চালাতে পারবো। স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী, নুর মোহাম্মদ, বিশ্বকোচ ও নুরুল হক বলেন, দাওধারা পর্যটন কেন্দ্রটির স্থগিত করা কাজ দ্রুত শুরু করা হোক।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিশায় রিছিল বলেন, গারো পাহাড়ের দাওধারায় ২২০.৭৭ একর খাস জমি উদ্ধার করে নতুন পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে বাকি কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:০৮ | রবিবার, ০৩ মার্চ ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com