শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

নির্বাচন বাতিলে রাষ্ট্রপতি ও ইসি’র প্রতি আহ্বান পেশাজীবীদের বিতর্কিত, হাস্যকর ও শতাব্দীর নিকৃষ্ট নির্বাচনী প্রহসন

  |   রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট

1001 statement

স্টাফ রিপোর্টার : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত, হাস্যকর ও শতাব্দীর নিকৃষ্ট নির্বাচনী প্রহসন উল্লেখ করে তা এখনই বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী। তিনি বলেন, দেশবাসী অত্যন্ত ঘৃণাভরে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে’র মহাসচিব শওকত মাহমুদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ড্যাব-এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন গাজী বলেন, একতরফা নির্বাচন না করার জন্য দেশি-বিদেশি সব আহ্বান-উদ্যোগ উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার সরকার জবরদস্তিমূলকভাবে আজকের নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। দেশের
পেশাজীবী সমাজ ইতোপূর্বেই এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন হওয়ার আগেই ১৫৩টি আসনে ভোটহীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের ৫২ শতাংশেরও বেশি ভোটার ভোট দেয়ার সুযোগটুকুই পাননি। বাকি ১৪৭টি আসনে আজ যে নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে তা লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যেই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ গণমাধ্যমের কল্যাণে আজকের ভোটারবিহীন নির্বাচনী তামাশা লক্ষ্য করেছেন। এই নির্বাচনী তামাশা দেশবাসী অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিভিন্ন জেলার ভোট কেন্দ্রে আজ নির্বাচনের যে নজির প্রত্যক্ষ করা গেছে তাতে এই বিতর্কিত নির্বাচনকে শতাব্দীর নিকৃষ্টতম তামাশা হিসেবে উল্লেখ করা ছাড়া উপায় নেই। শেখ হাসিনার একগুঁয়েমি, ক্ষমতার মোহ ও লোভের কারণেই বাংলাদেশের কপালে আজ এতবড় কলংকতিলক পড়েছে। এই নির্বাচন বিশ্বের নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলংকজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তিনি এ ধরনের একটি তামাশার নির্বাচনের জন্য সরকারের আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনেরও পদত্যাগ দাবি করেন।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, বন্দুকের নলের মুখে আজ নির্লজ্জ প্রহসনের কলঙ্কময় ও জালিয়াতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে কমপক্ষে ১৮ জন। বহু মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে চিকিত্সার অভাবে কাতরাচ্ছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারও বহু সদস্য হতাহত হয়েছে। নজিরবিহীনভাবে ভোটার অনুপস্থিতির এই নির্বাচনে এর মধ্যে দেশের ৩২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বেলা দুটা পর্যন্ত খুবই নগণ্যসংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র ও বিরোধী জোটের প্রার্থীরাও গণহারে নির্বাচন প্রত্যাখান ও বর্জন করেছেন। কোনো কোনো কেন্দ্রে দুপুর একটা পর্যন্ত একজনও ভোটার উপস্থিত হননি।

তিনি বলেন, প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রত্যাখ্যানের মধ্যে অনুষ্ঠিত আজকের নির্বাচনে জনগণের তেমন সাড়া মিলবে না বলে সবাই আশা করেছিলেন। কিন্তু জনগণ যে এভাবে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে তা সবার ধারণার বাইরে ছিল। এজন্য তিনি জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

রুহুল আমিন গাজী নির্বাচনের দিন গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে উল্লেখ করে দাবি করেন, বিকাল চারটা পর্যন্ত ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।

তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, যেমন বিশ্বনাথে রামধানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো ভোটার ভোট দিতে আসেননি। সাতক্ষীরা-২ আসনে চার ভোটকেন্দ্রে তিন ঘণ্টয় একটি মাত্র ভোট পড়েছে। উত্তরায় দেড় ঘণ্টায় ৫টি ভোট, ঢাকা-১৮ আসনের উত্তরা রাজউক মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রথম দেড় ঘণ্টায় মাত্র ৫টি ভোট পড়েছে।
তিনি সকাল থেকে বিভিন্ন টেলিভিশনের কিছু সরেজিমন সংবাদও তুলে ধরে বলেন, সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা-৬ আসনের সরকারি কবি নজরুল কলেজের চিত্র তুলে ধরে আরটিভি। কেন্দ্রের তিনটি ভোট কক্ষের মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৭টি। এর মধ্যে এক নং কক্ষে ৩টি, ২ নং কক্ষে ২টি ও তিন নং কক্ষে ২টি ভোট পড়েছে। চ্যানেল টুয়েন্টিফোর জানায়, সকাল ৯টায় চট্টগ্রামের জামাল খান হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রে মাত্র তিনজন ভোট দিয়েছে। ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকা-১৮ আসনে উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের চিত্র দেখায় বাংলাভিশন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে একটি ভোট কক্ষেও ভোট সংখ্যা ২০ অতিক্রম করতে পারেনি। কাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টায় ভোট পড়েছে মাত্র ২টি।

তিনি বলেন, দুপুর ১১টায় বাংলাভিশন খুলনা-২ আসনের খুলনা সিটি কলেজ কেন্দ্রের অবস্থা জানিয়ে বলে কেন্দ্রে কোনো ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

চ্যানেল টুয়েন্টিফোর দুপুর পৌনে ১২টায় সরাসরি সম্প্রচারে জানায়, খুলনা-৩ আসনের ৩০ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জানায়, ৩ নং বুথে ১৫টি ভোট পড়েছে। দুপুর ১২টায় চ্যানেল টুয়েন্টিফোর জানায়, মোল্লার টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা জানিয়ে বলেন, চার ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ভোটারের ৬টি কেন্দ্রের ওই ৩৭টি বুথে কোনো ভোটার ছিল না। ঢাকা-১৬ আসনে মিরপুর বাংলা কলেজের চিত্র দেখায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। বাংলা কলেজে ভোটার ১৫ হাজারের বেশি। ১২টা ৪০ পর্যন্ত ৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৪০০।

একুশে টেলিভিশন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তাদের স্ক্রলে জানায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির কল্যাণপুরে দুটি ভোট কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। এনটিভি জানায়, পুরনো ঢাকার সরকারি মুসলিম হাইস্কুল কেন্দ্রের ভোট পড়েছে ২৫টি থেকে ৩৫টি পর্যন্ত ঢাকা-১৭ আসনের সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে দুপুর ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ২৯২১ জনের মধ্যে ১০০ জনের মতো ভোট দিয়েছেন। এছাড়া মিরপুরের পল্লবীর একটি ভোট কেন্দ্রে দুপুর দু’টা পর্যন্ত মাত্র ২টি ভোট পড়েছে বলে বাংলাভিশন জানায়। টেলিভিশনগুলোর এসব সংবাদ থেকেই সারা দেশে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ভোট বর্জনের চিত্র পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়। এসব সংবাদ থেকে আমাদের দৃঢ় ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুই শতাধিক কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আরও বেশকিছু কেন্দ্র এরই মধ্যে বিক্ষুব্ধ জনতা অগ্নিসংযোগ ও ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ায় ভোট গ্রহণ স্থগিতের প্রক্রিয়া চলছে। দিন শেষে যার সংখ্য দেড় হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা মনে করছি। যা ইতোপূর্বে দেশে ইতিহাসে কখনই দেখা যায়নি। এত বেশিসংখ্যক কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিতের কারণেও ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।

তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সারা দেশে ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রংপুরে দুই জামায়াত কর্মী, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, নীলফামারীর ডিমলার চাপানি, জলঢাকা ও সোনাপুরে পুলিশের গুলিতে চারজন, দিনাজপুরে বিএনপি কর্মী ও একজন আনসার সদস্য, লালমনিরহাটে যুবদল কর্মী, ফেনীতে দুই বিএনপি কর্মী, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিএনপি কর্মী ও মুন্সীগঞ্জে পুলিশের ধাওয়ায় পুকুরে পড়ে একজন, গাজীপুরে ট্রাক চালক নিহত হয়েছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোটকেন্দ্রে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন নাশকতার খবর পাওয়া গেছে। এরপরও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ একচোখা নীতি অবলম্বন করে ভোটার উপস্থিতি ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণের বক্তব্য দিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। যা নির্বাচন কমিশন এবং গণতন্ত্রের ওপর মানুষকে আরও আস্থাহীন করে তুলবে।
তিনি বর্তমান নির্বাচনকে হাস্যকর উল্লেখ করে বলেন, এতে দেশের রাষ্ট্রপতি ভোট দিতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোট দিতে পারেননি। ভোট দিতে পারেননি জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, আজ্ঞাবহ সিইসি কাজী রকিব উদ্দিনও। বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এইচ এম এরশাদকে সিএমএইচএ আটকে রাখা হয়েছে। এটি শুধু একতরফা নির্বাচনই নয়, একটি প্রাণঘাতী নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পর আজ পর্যন্ত ১৪১ জনকে পাখির মতো হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভোটারদের উপস্থিতিবিহীন এই নির্বাচন হলে ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে এবং এতে দেশের গণতন্ত্র মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি একদলীয় সরকার কায়েম হবে। যারা হবে চরম স্বৈরাচারী। এতে বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট ও আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ধ্বংস হবে এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচনে তাদের পরাজয় ত্বরান্বিত করবে।

তিনি বলেন, সাধারণভাবে দেখা যায় দেশের সাধারণ মানুষ সব সময়ই ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে এবং নির্যাতিতদের পক্ষে অবস্থান নেয়। সরকারের দমন-পীড়নমূলক ব্যবস্থা, ব্যাপকভাবে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ মোতায়েন; আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার স্বেচ্ছাচারিতা; নির্বিচার গুলি, গণগ্রেফতার, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া, সর্বসাধারণের নিত্য হয়রানি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। পাশাপাশি সরকারি দলের কর্মকাণ্ডে র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সুস্পষ্ট এবং ভয়ানক সমর্থন বিরোধীদলকে সাধারণ মানুষের কাছে আরো ‘অসহায়’ এবং জনপ্রিয় করে তুলছে। যা সরকারি দল আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবেও সরকারের একতরফা নির্বাচনের কারণে ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষ পর্যবেক্ষক না পাঠিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একতরফা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে আগেই উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এরপরও এক তরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের অর্থনীতি, কূটনীতি, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা একটি স্বাধীন দেশের জন্য কোনোভাবই কাম্য হতে পারে না।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিএফইউজের মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে তাদের আর এক মুহূর্তের জন্যও ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জনগণকে ভোট বর্জনের যে আহ্বান জানিয়েছেন, জনগণ তার প্রতি সম্মান জানিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাননি।
অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, রকীব মার্কা নির্বাচনের তামাশায় বাংলাদেশ আজ লজ্জিত। তল্পিবাহক এ নির্বাচন কমিশনের লজ্জা থাকলে তারা অবিলম্বে পদত্যাগ করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমীন গাজী বলেন, বর্তমান সংসদ এখনও বহাল আছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিল পাস করে ২৪ জানুয়ারির পর ৯০ দিনের মধ্যে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৪৫ | রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com