নওগাঁ : নওগাঁর বিভিন্ন কেন্দ্রে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জাল জলিয়াতির মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন করায় ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। এদের মধ্যে পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করাসহ অন্যান্য অপরাধ করায় ১৩ জন প্রার্থীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ থেকে ১ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড প্রদান করাসহ ২ জনকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। কারাদন্ডপ্রাপ্তদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২রা ফেব্রুয়ারি) এ নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নওগাঁর বিভিন্ন কেন্দ্রে তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে বলে নওগাঁর ডিসি গোলাম মওলা বিকেল ৪ টার দিকে মিডিয়া সেলে এ তথ্য জানান। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নওগাঁ সদর থানার চক এনায়েত উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, পাহাড়পুর জিএম হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে ১ জনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারি বিএমসি মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ২ জনকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মান্দায় উপজেলার মান্দা মমিন শাহানা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করায় রবিউল ইসলামকে ১০ দিন এবং মিঠুন ও সুলতানকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র থেকে নাইমুর রহমান ও মোস্তাফিজুর বিন আমিনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। মান্দা থানা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে জারজিস আলমকে ১০দিন, ফজলে রাব্বি মন্ডলকে ১ মাস, নুর আলমকে ৭ দিন, জামাল উদ্দিনকে ১০ দিন ও আব্দুল্লাহ সাইরাফিকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বদলগাছি উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে একজনকে পুলিশে সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। মহাদেবপুর সর্বমঙ্গলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আনসার আলী নামের এক জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে জানা যায়, শুক্রবার জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কানে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করার অপরাধে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ১১ ধারায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।