| শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মামলায় রায় ঘোষণার জন্য শিগগিরই তারিখ ধার্যে করতে পারে ট্রাইব্যুনাল। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এ মামলার রায় হতে পারে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।
গত ১৩ নভেম্বর এ মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত রেখেই রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
পরে ১৪ নভেম্বর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের আদেশ পুনঃবিবেচনার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তাদেরকে আরেকবার সুযোগ দেন। এরপর আসামিপক্ষ ২০ নভেম্বর তাদের যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন করেন।
নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তার আগে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম যুক্তি উপস্থপান করেন।
অন্যদিকে প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ হায়দার আলী ও ড. তুরিন আফরোজ। এদিকে এই রায়টিই হতে পারে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের শেষ রায়।
সংবিধানের ৯৬ (২) ধারা মতে হাইকোর্টের কোন বিচারপতি বয়স ৬৭ বছর হয়ে গেলে তাকে অবসরে যেতে হয়। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফজলে কবীর তার বিচারিক জীবনের ইতি টানবেন।
হাইকোর্টের বিচারপতিদের তালিকায় থাকা বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের প্রোফাইলে দেখা যায় তিনি ১৯৪৭ সালের ১ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মো. মাজহারুল হক, মায়ের নাম তাইবাতুন্নেছা।
তিনি ১৯৭৩ সালে জেলা আদালতে আইন পেশা শুরু করেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিসে মুনসেফ হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ১৯৯২ সালের ২২ অক্টোবর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বিচারিক কাজ শুরু করেন। ২৭ আগস্ট ২০০৩ সালে তিনি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ পান। এরপর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট তিনি চুড়ান্ত নিয়োগ পান।
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি হিসেবে ২০১১ সালের ২৫ মার্চ নিয়োগ পান তিনি। পরে ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর তিনি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
জামায়াত নেতা নিজামীর বিরুদ্ধে গত ৩ থেকে ৬ নভেম্বর প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন।
নিজামীর বিরুদ্ধে গত বছররে ২৬ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর র্পযন্ত প্রসকিউিশনরে সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন মুক্তযিোদ্ধা, অধ্যাপক, সাংবাদকি ও ইতিহাসবিদসহ মোট ২৬ সাক্ষী।
মুক্তিযুদ্ধ সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ১৬টি অভিযোগ এনে গত বছররে ২৮ মে নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, র্ধষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মোট ১৬টি ঘটনায় এ অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে একটি মামলায় ২০১০ সালরে ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরে ২ আগস্ট এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মানবতাবরিোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রফেতার দেখানো হয়।
Posted ২২:২০ | শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin