| বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আসামিপক্ষ যুক্তিতর্কে অংশ না নেয়ায় রায়ের দিন ধার্য করার আবেদন করেছেন দুদকের আইনজীবী। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত। ততদিন পর্যন্ত এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলাটি যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল আজ। সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে রায়ের তারিখ ঘোষণার আবেদন করেন দুদকের আইনজীবীরা।
অন্যদিকে সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর এবং যুক্তিতর্ক মুলতবির আবেদন করেন। এছাড়া আসামি মনিরুল ইসলামের আইনজীবী তার জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়া ও মামলার অপর আসামি মনিরুল ইসলামের জামিন বৃদ্ধি করেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের আদেশের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। এছাড়া দুই আসামির বিচারকের প্রতি অনাস্থার আদেশও একই দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারের আদেশ দেয় আদালত।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে উল্লেখ করে এ মামলার অপর দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে মামলার কার্যক্রম মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করলে বিচারকের প্রতি অনাস্থা দেন তাদের আইনজীবীরা।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও দুই কোটি টাকার জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান। ওইদিন রায়ের পর থেকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি নেত্রী।
Posted ১৪:০৯ | বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain