রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোথায় কীভাবে পাওয়া যাবে মেট্রোরেলের টিকিট

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

কোথায় কীভাবে পাওয়া যাবে মেট্রোরেলের টিকিট

মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার থেকেই যাত্রী নিয়ে ছুটে চলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত মেট্রোরেল। এ নিয়ে ঢাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা।

 

মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য দুই ধরনের টিকিট কাটা যাবে- সিঙ্গেল (একক) ও এককালীন (এমআরটি পাস)। যেকোনো টিকিট আপনি দুই পদ্ধতিতে কাটতে পারবেন; স্বয়ংক্রিয় ও ম্যানুয়াল। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্টকার্ড ও টিকিটিং ব্যবস্থা। একজন যাত্রীর সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট সংগ্রহের সুযোগ রাখা হয়েছে।

 

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে প্রথমে মনিটরে ভাষা (বাংলা অথবা ইংরেজি) নির্বাচন করতে হবে। একক ও এককালীন (এমআরটি পাস) যাত্রার জন্য টিকিট নির্বাচন করতে হবে। এরপর আসবে গন্তব্যের তালিকা। কোন স্টেশন পর্যন্ত কত ভাড়া সে তালিকা দেওয়া থাকবে। তারপরই গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করতে হবে।

 

এরপর কয়টি টিকিট কাটবেন তার অপশন আসবে। পছন্দমতো স্টেশন ও টিকিট সংখ্যা টাচ-স্ক্রিন মনিটরে নির্বাচন করে গন্তব্যের স্থান নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘ওকে’ বাটন চাপলেই মেশিন টাকা চাইবে। টাকা দিলেই একক টিকিট বের হয়ে আসবে। মেশিনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা প্রবেশ করানো যাবে।

 

যারা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টিকেট কাটতে পারবেন না তাদের জন্য রয়েছে প্রচলিত পদ্ধতিতে কাউন্টার থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা। লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে তা স্মার্টকার্ড পাসের মাধ্যমে গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে।

 

সিঙ্গেল জার্নির জন্য যাত্রীকে প্রতিবার যাত্রার আগে টিকিট কাটতে হবে। যাত্রা শেষ করে টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে আসতে হবে। কারণ এই টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবে না।

 

ভাড়া ও অন্যান্য:  মেট্রোরেলে ১৬টি স্টেশন থাকবে। অর্থাৎ দুটি স্টেশনের মধ্যে গড় দূরত্ব হবে ১ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার। বেশি স্টেশন রাখার ফলে বিপুলসংখ্যক যাত্রী এর সুফল ভোগ করবে। প্রত্যেক স্টেশনে থাকা টিকিট ভেন্ডর মেশিনের মাধ্যমেই এটি করা যাবে। এ ক্ষেত্রে গন্তব্য অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া কেটে নিয়ে কার্ডটি ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে যাত্রীকে।

 

মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে উত্তরা স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া হবে ৬০ টাকা। উত্তরা (উত্তর) থেকে উত্তরা (মধ্য) এবং উত্তরা (দক্ষিণ) স্টেশনের ভাড়া ২০ টাকা। এছাড়া প্রথম স্টেশন উত্তরা (উত্তর) থেকে পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০টাকা। মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা এবং শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

মেট্রোরেলের গতি হবে গড়ে ঘণ্টায় ৩২ কিলোমিটার, যদিও এটি সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম। শীতকালে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ও গ্রীষ্মকালে সকাল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

 

টিকিট বিষয়ে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিকী বলেন, মেট্রোরেলের প্রতিটা স্টেশনে টিকিট পাওয়া যাবে। এছাড়া পরবর্তীতে রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে এমআরটি পাস পাওয়া যাবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:০৫ | মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com