| মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
এয়ারফোন কানের মারাত্মক ক্ষতি করে। মোবাইল, আইপড আমাদের শোনার শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে। মোবাইল থেকে যে নন-অ্যায়োনাইজড ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়, তার ৫০ শতাংশ শোষিত হয়। শিশুদের মাথার হাড় পূর্ণবয়স্কদের চেয়ে অনেক পাতলা হওয়ায় শোষণ বেশি হয়। এতে ওদের ব্রেনের নিউরনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অনেকেই বলেন, মাথার পেছনে ও দুপাশে মৃদু যন্ত্রণা হচ্ছে। মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বা একটু পরে এই যন্ত্রণা বা এক ধরনের অদ্ভুত জ্বালা অনুভব করেন। প্রায় এক ঘণ্টা থাকে এই ব্যথা। কারও কারও ক্ষেত্রে সারা দিন ধরে ভোগায়। এমনকি সাধারণ ফোন ব্যবহার করলে এই ব্যথা তেমন হয় না। ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন তাদেরই এই ব্যথা হয়।
ট্রেনে, বাসে, মোটর গাড়িতে যাওয়ার সময় মোবাইলে কথা বললে, ফোনের মাইক্রোওয়েভ/ radio frequency electro magnetic fields থেকে অনেক বেশি রেডিয়েশন শরীরে প্রবেশ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এদের ব্রেন টিউমার হবার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বেশি। যারা বেশি হেডফোন ব্যবহার করেন, তাদের শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। এখনকার মিউজিক সিস্টেমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে মিউজিক শোনা যায়। এতেও শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
সাধারণত মাঝ বয়সীদের মধ্যে আশঙ্কাজনক শ্রবণ ক্ষমতার হ্রাস ঘটতে দেখা যায়। জার্মানিতে একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, সেলফোন ব্যবহার করলে রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ছে।
২০০২ সালে National radiological protection boards advisory group London জানায়, পারকিন্সন্স, অ্যালঝাইমার এবং মোটর নিউরো রোগের জন্য এই electro magnetic radiation অনেকটাই দায়ী।
ফোনই এখন বন্ধু। তাই ফোনকে বাদ দিয়ে এখন জীবনকে ভাবা অসম্ভব। তাই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নিরাপদ সীমা হলো ৮৫ ডেসিবল মাত্রায় দৈনিক ৮ ঘণ্টা। আমাদের কানের গঠনটা এমন যে বাইরের শব্দ খানিকটা কমে গিয়ে কানের পর্দায় মৃদু ধাক্কা দিয়ে এক তরঙ্গের সৃষ্টি করে।
এই তরঙ্গ কানের পর্দার পেছনের তিনটি হাড়ের মাধ্যমে প্রয়োজনমত বৃদ্ধি পেয়ে মস্তিস্কের কোষগুলিকে উত্তেজিত করে তখন আমরা শুনতে পাই। কিন্তু কানে হেডসেট লাগানো থাকলে শব্দ সোজাসুজি কানের পর্দায় ধাক্কা দেয়। এতে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।
আমাদের কান প্রতি সেকেন্ডে ২০ থেকে ২০০০০ কম্পাংকের শব্দ গ্রহণ করতে পারে। বাস্তবে আমাদের কান নিম্ন কম্পাংক যুক্ত শব্দ অনুভব করতে পারে না। কান থেকে ১৫ মিমি দূরে ফোনটা ধরুন। ভলিউম বাড়ান বা স্পিকার অন করুন, এতে রেডিয়েশন কম হবে।
এমনিতে হেড-সেটের রেডিয়েশন বেশি হয় তার উপর হেড-সেটের উপর ইয়ারপিস আঙুল দিয়ে চেপে ধরবেন না। এতে আরও বেশি রেডিয়েশন শরীরে প্রবেশ করবে।
টেক্সট মেসেজ পাঠাবার সময় সমতল জায়গায় ফোনটি রেখে ‘send option’ ছুঁয়ে আঙুলটি সরিয়ে নিন। ট্রেনে, বাসে, গাড়িতে মোবাইল ফোনে কথা বলতে হলে জানালার কাছে কথা বলুন। কথা বলার শুধু আপনার না, আপনার পাশের যাত্রীর শরীরেও রেডিয়েশন প্রবেশ করে। মোবাইল ফোনে টাওয়ারের বার সংখ্যা যত বেশি, রেডিয়েশন তত কম হয়।
যখন টাওয়ারের বার সংখা বেশি থাকবে তখনই কল করুন। খরচ কম হলেও, বাড়তি কথা নয়, যত কথা তত রেডিয়েশন। আমরা মোটামুটি ৬০ ডেসিবল মাত্রায় কথা বলি।
এতে শ্রবণ ক্ষমতা না কমলেও মাঝে মাঝে কানকে বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। প্রতি বছর শ্রবণ ক্ষমতার পরীক্ষাও করা দরকার।
সূত্র: ইয়াহু হেলথ।
Posted ১১:৫৫ | মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin