বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ বিশ্ব সিওপিডি সচেতনতা দিবস

  |   বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

আজ বিশ্ব সিওপিডি সচেতনতা দিবস

বুধবার বিশ্ব সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) দিবস । এ রোগের বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মত সারা দেশে এ দিবস পালন করা হবে। একই সাথে সারা বিশ্বে এ দিবস পালিত হবে। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ নিজ কার্যালয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করেছে। আলোচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অংশ নিবেন। ধূমপানমুক্ত নিরোগ-জীবন নির্মল-বাতাসের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাওয়া মানুষদের নিয়েই এই সেমিনারের আয়োজন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের মানুষের ২১ শতাংশই ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে (সিওপিডিতে) ভুগছে । যাদের ৬২ শতাংশই ধূমপায়ী। বর্তমানে এ রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ। সিওপিডি রোগে বছরে মারা যায় ৬৩ হাজার জন। এ রোগসহ শ্বাসকষ্ট জনিত নানা রোগের প্রধান কারণ ধূমপান আর বায়ুদূষণ। এর প্রভাবে দেশে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এ বাস্তবতায় সচেতনতা সৃষ্টিতে তামাক চাষ বন্ধ এবং পরিবেশ দূষণ রোধে সরকারি হস্তক্ষেপ নিতে হবে। সিওপিডি রোগের জন্য ধূমপানকে দায়ী করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারিভাবে তামাক চাষ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একমাত্র ধূমপান ত্যাগের মাধ্যমেই এ রোগ ৮০ শতাংশ হ্রাস করা যায়। সিওপিডি নির্মূলে সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা এবং গণমাধ্যমের ভূমিকার কথাও বলছেন তারা।

অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক বশির আহম্মদ আমাদের নতুন সময়কে জানান, যে হারে শ্বাসকষ্টের রোগী বাড়ছে, তা ভবিষ্যতে ভয়াবহ রূপ নেবে। যা ২০২০ সালে বিশ্বের মধ্যে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ হয়ে দাড়াঁবে। ফুসফুসের যেকোনো রোগেই শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সেটা অ্যাজমা ও সিওপিডি হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রাশেদুল হাসান জানান, ফুসফুসের রোগে বায়ুদূষণের প্রভাবই সবচেয়ে বেশি। দূষিত বায়ুর সঙ্গে নানা বিষাক্ত উপাদান ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। এছাড়া বায়ুদূষণের পাশাপাশি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশও ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের রোগের জন্য দায়ী। এখন শুধু বস্তিতেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নয়, বরং তার চেয়েও বেশি খারাপ অবস্থা আবদ্ধ পরিবেশের ফ্ল্যাট বাড়ি কিংবা কর্মস্থলে। বিশেষ করে যেভাবে দরজা-জানালা বন্ধ রেখে গুমোট পরিবেশে আলো-বাতাসের প্রবেশ সুযোগ না রেখে মানুষ বসবাস করছে তা শ্বাসতন্ত্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:৪১ | বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com