বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রমজানে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হলে যা করবেন!

  |   বৃহস্পতিবার, ৩১ মে ২০১৮ | প্রিন্ট

রমজানে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হলে যা করবেন!

রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় মুসলিম উম্মাহ সব সময় আন্তরিক। ত্যাগ ও সংযমের সঙ্গে সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে পার করেন রমজানের একটি মাস। রোজা পালনে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত খাবারের গড়মিল এবং পর্যাপ্ত পানি পানের অভাবে অনেকেরই প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়।

বিশেষ করে গরমের দিনে এই সমস্যা বেশি হয়।প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। তবে নারীদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার প্রবণতা বেশি।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে, তা হলো প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হয়। প্রস্রাবে বাজে গন্ধ আসে। একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ আসে কিন্তু পরিমাণে খুব কম হয়। প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয়। তলপেটে বা পিঠে তীব্র ব্যথা হয়। সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব অথবা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। বমি ভাব বা বমি হয়।

কিছু ঘরোয়া উপায়ে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। প্রস্রাবের এ জ্বালাপোড়া থেকে নিস্তার পেতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে।

তরল জাতীয় খাবার, ইসপগুলের ভুসি-মিছরির শরবত, অ্যালোভেরার শরবত, আখের গুঁড়, ফলের ফ্রেস জুস, ডাবের পানি বা লেবুর শরবত পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কর্যকরী সমাধান পেতে ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। ভিটামিন-সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। ভিটামিন-সি মূত্রথলি ভালো রাখে এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভাব কমাতে সহায়তা করে।

এ ক্ষেত্রে আনারস খুব উপকার করে। কারণ এতে আছে ব্রোমেলাইন নামক উপকারী এঞ্জাইম। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান। ইউরিন ইনফেকশন সাধারণত দুদিনের বেশি সময় থাকে। আর এ সময়ে ইনফেকশন কিডনিতে ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে ফেলা উচিত।
বেকিং সোড়া দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধা চা চামচ বেকিং পাউডার এক কাপ পানিতে ভালো করে মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে এবং ইউরিন ইনফেকশন দ্রুত ভালো হয়।

উল্লেখ্য, স্বাভাবিক ভাবে একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টায় সাধারণত ২ দশমিক ৫ থেকে তিন লিটার পানি বা পানীয় পান করে থাকে। কিডনির কাজ করার ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকলে, পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার খুব বড় তারতম্য না হলে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫০০ সিসি প্রস্রাব কিডনি তৈরি করে থাকে। আমাদের শরীর থেকে কিছু পানি ঘাম আকারে, কিছু পানি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে, কিছু পানি মলের সঙ্গে বের হয়ে যায়।

যেহেতু আমাদের প্রস্রাবের থলির স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৩০০ সিসি, তাই স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টায় পাঁচবার প্রস্রাব করে থাকে। সাধারণত দিনে চারবার আর রাতে একবার।

লেখক : ডা. মোহাম্মদ অহিদুজ্জামান। কিডনি, মূত্রথলি ও নালি ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, কনসালট্যান্ট, ইউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, ঢাকা।

বিডি২৪লাইভ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:২৮ | বৃহস্পতিবার, ৩১ মে ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com