নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে তাদের আটক করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম জানা যায়নি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে থানার সিটি গেটের কাছে সড়কের পাশ থেকে সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, সকালে অবরোধের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে গাড়ি ভাঙচুর করছিল অভিযুক্তরা। এসময় তারা চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরে সোমবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে দুটি এবং সকালে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
এদিকে, সড়কে অন্য দিনের তুলনায় যান চলাচল কম হলেও অবরোধের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম থেকে যথাসময়ে ছেড়ে গেছে সবকটি ট্রেন। একইসঙ্গে সব ট্রেন যথাসময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন পৌঁছেছে বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুই প্লাটুন করে মোট চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার রাত ৯টা থেকে দুই উপজেলায় বিজিবির টিম টহল শুরু করে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন নামে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে নানা নাশকতা হয়েছে। সে কারণে আশঙ্কা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
গত শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। একইদিন আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করে জামায়াত। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া জামায়াতের কর্মসূচি শেষ হলেও বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ নিহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। পর একই কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় জামায়াতও।
Posted ০৮:৩৪ | মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain